সন্দীপ রাওয়াত
গত দুসপ্তাহে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার সংলগ্ন এলাকা থেকে অন্তত ১৩টি কুমিরকে জমে থাকা জল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জানালেন বনদফতরের আধিকারিকরা। বনদফতরের আধিকারিকদের মতে, প্রচন্ড বৃষ্টি ও নদীর জল উপচে পড়ার জেরে জেলার একাধিক জায়গায় জল ঢুকে গিয়েছিল। আর তার জেরেই বিভিন্ন জায়গায় কুমির চলে আসে। গত দু সপ্তাহে অন্তত ১৩টি কুমিরকে ধরতে পেরেছে বনদফতর। সেগুলিকে নদীতে ছেডে় দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার লস্কর এলাকায় ইসমাইলপুর এলাকায় বৃষ্টির জমা জলে ভর্তি একটি ড্রেন থেকে একটি কুমিরকে উদ্ধার করা হয়। পরে বনদফতরের কর্মীরা এসে কুমিরটিকে উদ্ধার করে। পরে সেটিকে গঙ্গায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে এই কুমিরের উপর নজর রাখার জন্য এলাকায় একাধিক টিমও তৈরি করা হয়। লস্কর ও রুরকি এলাকায় সেই টিমগুলি কাজ করছে। কোথাও কুমিরের কথা শুনলেই তারা ছুটে যাচ্ছে। মূলত বন্যার জলের সঙ্গে এই কুমিরের দল লোকালয়ে চলে এসেছিল।
বিভাগীয় বনাধিকারিক নীরজ শর্মা জানিয়েছেন, ওই টিমের সদস্যরা সব সময় নজর রাখছেন। ১৩টি কুমিরকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেগুলিকে নিরাপদে গঙ্গায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সোলানি ও বান গঙ্গাতেও কয়েকটাকে ছাড়া হয়েছে। একাধিক পুকুরে, জমা জলে সেগুলি পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে কানওয়ার যাত্রার সময় যাতে ভক্তদের উপর বন্য জন্তু আঘাত হানতে না পারে সেকারণে টিম রাখা হয়েছে। বনদফতর জানিয়েছে জমা জলে নামবেন না। কুমির থাকতে পারে।
গুরুকূল কাংরি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞানের প্রফেসর গগন মাত্তা জানিয়েছেন, নদী তিরবর্তী এলাকায় সাধারণত কুমির দেখা যায়। এবার বন্যার জলের সঙ্গে লোকালয়ে কুমির চলে এসেছে। চাষের জমির জমা জলেও কুমির।
উত্তরাখণ্ডের করবেট এলাকায়, হরিদ্বার বনাঞ্চল এলাকায় অনেক সময় কুমির দেখা যায়। ২০২১ সালে গ্রামবাসীরা ইউএস নগর এলাকায় একটি কুমিরকে ধরে ফেলেছিলেন। পরে সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ২০২০ সালেও হরিদ্বার ফরেস্ট ডিভিশনে এক নাবালিকাকে মেরে ফেলেছিল একটি কুমির।