নিজের মতো রাস্তা পার হচ্ছিল হাতির পাল। তাতেও সমস্যা একদল মানুষের। বিনা কারণেই চলছিল ইঁট-পাটকেল ছোঁড়া, ভয় দেখানোর চেষ্টা। আর তাতে যা পরিণতি হওয়ার, তাই হল। সোজা এগিয়ে গিয়ে এক যুবককে পিষে দিল ভীত হাতি।
ভিডিয়োটি অসমের নুমালিঘুরের। জঙ্গলের মাঝ বরাবর চলে যাওয়া রাস্তা পার হচ্ছিল হাতির পাল। রয়েছে বহু হস্তী শাবকও। নিজেদের মতোই রাস্তা পার হচ্ছিল তারা।
কিন্তু তাতেও সমস্যা জনতার একাংশের। জনা পঞ্চাশেক স্থানীয় মিলে তাদের ভয় দেখাতে শুরু করলেন। ঢিল ছোঁড়া হচ্ছিল হাতির পাল লক্ষ্য করে। কেউ কেউ অতি উত্তেজনায় সামনে পর্যন্ত চলে যাচ্ছিলেন। আরও জোরে গাড়ির হর্ন বাজানোর জন্যও উত্সাহিত করতে দেখা যায় কাউকে।
সম্পূর্ণ পালের হাতিরা তবুও কিছুই প্রতিক্রিয়া করেনি। দ্রুত রাস্তা পার হয়ে যায় তারা। কিন্তু পালের শেষে থাকা একটি হাতি ধৈর্য্য হারাল। সমগ্র দলটি রাস্তা পার হয়ে যেতেই পাল্টা পদক্ষেপ করল সে। তেড়ে গেল জড়ো হওয়া জনতার দিকে।
সেই সময়েই পালাতে গিয়ে উল্টে পড়ে গেলেন এক যুবক। সোজা গিয়ে তাকে পিষে দিল হাতিটি। তারপর ফিরে গেল জঙ্গলের দিকে।
বিভিন্ন স্থানে চা-বাগান, চাষের জন্য কেটে ফেলা হয়েছে জঙ্গল। ফলে ভুল করে বা খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতিরা। এক্ষেত্রে তেমনটাও কিছু হয়নি। জঙ্গলের মাঝে রাস্তাটুকু পার হতে গিয়েই মানুষের হামলার মুখোমুখি হতে হয় হাতির পালকে।
এদিকে দলে ছোট হাতি থাকলে আরও সাবধানী হয় তারা। শাবকদের যাতে ক্ষতি না হয়, সেই আত্মরক্ষার্থে আরও ক্ষিপ্র থাকে বড় হাতি। ফলে এক্ষেত্রেও যেটা হচ্ছিল সত্যিই অমানবিক ও বিপদজনক।
অনেকেই এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। বন দফতরই বা কেন স্থানীয়দের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কিছু করে না, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।