ওডিশায় দুই মাসের এক শিশু-সহ ঘূর্ণিঝড় আমফানে মারা গিয়েছেন দুই জন। বেশ কিছু গাছ উপড়ে রাস্তা অবরোধ এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিলেও ১৯৯৯ সালের সুপার সাইক্লোনের তুলনায় ওডিশায় বিশেষ বড় মাপের ক্ষয়ক্ষতি করেনি আমপান।
বুধবার সকালে একটি মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়লে তার নীচে চাপা পড়ে মারা যান ভদ্রক জেলার তিহিড়ি ব্লকে কন্নড় গ্রামের কৃষিজীবী বলরাম দাসের দুই মাসের শিশুপুত্র। এ ছাড়া কেন্দ্রপাড়া জেলায় ঝড়ের মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার।
এ দিন ওড়িশায় ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতি ধরা পড়েছে ভদ্রক জেলার ধামরা উপকূলে, যেখানে ঘণ্টায় ১২০ কিমি বেগে বয়ে গিয়েছে ঝোড়ো বাতাস। পারাদ্বীপে হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০০ কিমি।
ঘূর্ণিঝড়ে ঝাপটায় উপকূলবর্তী ওডিশার কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর, ভদ্রক ও বালেশ্বরে উপড়ে গিয়েছে বেশ কিছু গাছ, তুবড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তবে প্রায় ৯০% টেলি যোগাযোগ পরিকাঠামো অক্ষত থেকেছে।
দুর্যোগের মধ্যেই ওডিশার কেন্দ্রপাড়া জেলায় দমকলের ইঞ্জিনের ভিতরে একটি শিশুর জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি। ওডিশার উপকূল ঘেঁষে বয়ে যাওয়ার পরে পশ্চিমবঙ্গ ও তার পরে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে গিয়েছে আমফান।
বিপদ কেটে যাওয়ার পরে কেন্দ্রপাড়া, জগৎসিংহপুর ও ভদ্রক জেলায় রাস্তা পরিষ্কারের কাজে নামে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ওডিশা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল ও ওডিশা বন দফতরের কর্মীরা।