ঘূর্ণিঝড় আমফানের জেরে ভেঙেছিল পড়েছিল কুঁড়েঘরের দেওয়াল। তাতে চাপা পড়ে ওড়িশার ভদ্রক জেলায় মৃত্যু হল এক দু'মাসের শিশুর। এটাই ভারতে আমফানে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ভদ্রকের তিহিদি ব্লকের কান্নাড়া গ্রামের কৃষক বলরাম দাসের ছেলে সে। গতরাতে নিজেদের বাড়িতে ঘুমোচ্ছিল সে। রাতভর বৃষ্টির জেরে বুধবার সকালে মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। তাতে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ওই শিশুর।
কেন্দ্রপাড়া জেলার ৫৭ বছরের এক মহিলারও ঝড়ের সময়ে মৃত্যু হয়েছে। তিনি নিজের বাড়িতেই ছিলেন। তবে আমফানের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়নি বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
আমফানের প্রভাবে বুধবার ভোররাত থেকেই ভদ্রক, কেন্দ্রপাড়া, বালাসোরের মতো ওড়িশার উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টি-ঝড় শুরু হয়। বিশেষত বালাসোর ও ভদ্রকে প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। উপড়ে যায় অসংখ্য গাছ। ভেঙে যায় বিদ্যুতের পোস্ট। আমফানের সবথেকে ভয়াল রূপের মুখে পড়ে পারাদ্বীপ। সেখানে ঝড়ের গতিবেগ সকালের দিকে ঘণ্টাপিছু ১০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়। তার জেরে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়ির চিনের চাল উড়ে যায়, ভেঙে পড়ে গাছ।