ডালে ভেসে উঠল মরা টিকটিকি, মিড ডে মিলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ৮০
1 মিনিটে পড়ুন . Updated: 28 Dec 2021, 10:31 PM ISTনিত্যদিনের রুটিন মেনে চলছিল পঠনপাঠন। সঙ্গে ছিল পড়ুয়াদের হইচই। এরই মাঝে তাল কাটল মিড ডে মিল খাওয়ার সময়।
নিত্যদিনের রুটিন মেনে চলছিল পঠনপাঠন। সঙ্গে ছিল পড়ুয়াদের হইচই। এরই মাঝে তাল কাটল মিড ডে মিল খাওয়ার সময়।
মিডডে মিল খেয়ে কর্ণাটকের হাভেরিতে ৮০ জন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অভিযোগ ওই মিডডে মিলে মরা টিকটিকি পাওয়া গিয়েছে। আর তার জেরেই এই অসুস্থতা। তড়িঘড়ি অসুস্থদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, কর্ণাটকের ভেঙ্কটপুরার টান্ডাগ্রামে সরকারি স্কুলে এদিন মিডডে মিলের খাবার খেয়ে অসুস্থতার ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যদিও ৮০ জন পড়ুয়াকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও, তাদের মধ্যে ৭৮ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসার পর।
আর চারপাঁচটা দিনের মতো চলছিল স্কুল। নিত্যদিনের রুটিন মেনে চলছিল পঠনপাঠন। সঙ্গে ছিল পড়ুয়াদের হইচই। এরই মাঝে তাল কাটল মিড ডে মিল খাওয়ার সময়। খাবার যখন পরিবেশন করা হচ্ছিল, তখন এক পড়ুয়া ডালে মরা টিকটিকি পায়। এরপরই ভয়ে চিৎকার করে ওঠে ওই পড়ুয়া। মুহূর্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে। বাকি শিশুরা ততক্ষণে হতভম্ব। এরপর বহু পড়ুয়াই বমি করতে শুরু করে। দেখা যায় ধীরে ধীরে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় কার্যত ভয়ের সঞ্চার হয়। এরপর অভিভাবকরা ছুটে আসতেই স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। কীভাবে কর্তৃপক্ষ এতটা উদাসীন হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
এদিকে, যে সমস্ত শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ২ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে স্বভাবতই আতঙ্ক ছড়ায়। যদিও দেখা যায়, স্কুলের বাকি পড়ুয়াদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, জেলা প্রশাসন এই ঘটনায় মোটেও স্কুল কর্তৃপক্ষকে রেয়াত করতে রাজি নয়। প্রশাসনের তরফে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মিড ডে মিল নিয়ে এমন ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও বহুবার খাবারে এমন মরা প্রাণী ভেসে ওঠার ঘটনা ঘটেছে। তবে বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি সত্ত্বেও বহু ক্ষেত্রেই স্কুলগুলির উদাসীনতার ছবিই ধরা পড়ে। তবে এদিনের ঘটনার পর কর্ণাটক প্রশাসন কোন পথে হাঁটে, সেদিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।