কাকতলীয়ভাবে এদিনই তাঁর ছিল স্ত্রীর জন্মদিন। আর জীবনসঙ্গিনীর জন্মদিনে এর থেকে কী ভালো উপহারই বা দিতে পারতেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল?
আরও পড়ুন : কে জিতলেন-কে হারলেন, একনজরে হেভিওয়েট প্রার্থীদের রেজাল্ট
সেই উপহারের জন্য অবশ্য অনেকটা পথ হাঁটতে হয়েছে মাফলারম্যানকে। লোকসভা নির্বাচনের সময় যিনি প্রতি পদে পদে বিজেপির সমালোচনা করেছিলেন, সেই কেজরিওয়াল বিধানসভা নির্বাচনে একেবারে দিল্লি-কেন্দ্রিক ইস্যু নিয়ে প্রচার সারেন। যত ভোটের দিন এগিয়ে আসতে থাকে, তত সেই পুরনো কেজরির ঝলক মেলে। ভোটের ফলাফলের ছবিটা স্পষ্ট হওয়ার পর যে ভঙ্গিতে দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানালেন বা নিজেকে দিল্লিবাসীর ছেলে হিসেবে চিহ্নিত করলেন, তাতে যেন ভিনটেজ কেজরির বৃত্ত সম্পূর্ণ হল।
আরও পড়ুন : লোকসভা ভোটের পর একাধিক রাজ্যে ধাক্কা BJP, বিধানসভায় ফিকে মোদী-শাহর ক্যারিশমা?
এদিন যত বেলা গড়িয়েছে, তত আপ-ঝড়ের তীব্রতা বোঝা গিয়েছে। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ কেজরিওয়াল যখন দলের প্রধান কার্যালয়ে আসেন, তখন সেখানে থিকথিক করছে আপকর্মীদের ভিড়। চারিদিকে বাজছে ঢোল। আনন্দে আত্মহারা আপ কর্মী-সমর্থকরা। তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে বক্তব্য শুরু করেন কেজরি। শুরুতেই কিছুটা চমকে দেন। স্লোগান দেন 'ভারত মাতা কি জয়', 'বন্দেমাতরম', 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ'।
আরও পড়ুন : Delhi Election Result 2020: শেষবেলার ঝোড়া ইনিংসে জয় সিসোদিয়ার
তারপরই দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, 'আপনারা অভাবনীয় কাজ করেছেন। আই লাভ ইউ। সবাই দিল্লিবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তাঁরা তৃতীয়বারের জন্য নিজেদের ছেলেকে জেতালেন।' নিজের সরকারের উন্নয়ন ও সাফল্যের খতিয়ানও তুলে ধরেন কেজরিওয়াল। অথচ মুখে একটিবারের জন্য বিজেপির নাম নিলেন না। তবে বিজেপিকে খোঁচা দিতেও ছাড়েননি তিনি। কেজরির কথায়, 'দিল্লির মানুষ আজ দেশে নতুন রাজনীতির ধারার জন্ম দিয়েছেন। যা হল কাজের রাজনীতি।'