এক মাস আগেও সব সমীক্ষায় মনে হচ্ছিল ফের একতরফা ভোট হতে চলেছে দিল্লিতে। অধিকাংশ সমীক্ষা বলছিল যে ৭০ আসনে কমপক্ষে ৬০টি পাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। কিন্তু একমাসেই হাওয়া ঘুরে গিয়েছে, অন্তত এমনই ইঙ্গিত বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায়।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে এই মুহূর্তে ৩০-৩৫ আসন পেতে পারে বিজেপি। এখনও ভোটগ্রহণের এক সপ্তাহের ওপর বাকি আছে। হঠাত্ করে কেন বিজেপির পালে হাওয়া লাগছে? সমীক্ষায় উঠে এসেছে কয়েকটি বড় কারণ। যেভাবে দক্ষিণ দিল্লির শাহিন বাগে প্রায় দেড় মাস ধরে সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ চলছে, এতে সাংঘাতিক যানজট হচ্ছে। অসুবিধা হচ্ছে আম আদমির। প্রায় এক ঘণ্টা বেশি জ্যামে ফেঁসে থাকতে হচ্ছে। এরফলে সিএএ বিরোধী আন্দোলন সম্পর্কে নেতিবাচক অভিমত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মণীশ সিসোধিয়া বলেছিলেন যে আপ শাহিন বাগের বিক্ষোভকে সমর্থন করছে। এতে বিজেপির লাভ হয়েছে বলে মনে করেন দিল্লি বিজেপি সভাপতি মনোজ তেওয়ারি। দক্ষিণ দিল্লির সাংসদ রমেশ বিধুরি জানিয়েছেন যে একদিকে যেমন শাহিন বাগ আন্দোলনের ফলে বিজেপির প্রচারে জোর এসেছে অন্যদিকে আপ সরকারের বিভিন্ন ব্যর্থতাও তারা ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছেন।
ব
বিধুরি বলেন যে ভাবে আপ মোদী সরকারের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের সুযোগ দিল্লিবাসীকে নিতে দেননি, সেটি তারা ভোটারদের সামনে তুলে ধরেছেন। আগামী তিন-চার দিনে বিজেপি আপকে ছাড়িয়ে এগিয়ে যাবে বলেও আশা বিধুরির।
অমিত শাহর সভায় যেমন ভাবে মানুষ সাড়া দিচ্ছেন, এতেও আশায় বুক বাঁধছে বিজেপি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান যে শাহ নিজেও ভোটারদের প্রতিক্রিয়া থেকে খুশি। তবে শেষ ল্যাপে কোনও কমতি রাখতে চাইছে না বিজেপি। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট সেশন। সকালে সংসদে যাওয়ার পর তিনটের পর প্রচারে মন দিতে বিজেপি সাংসদদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লকেট চ্যাটার্জী জানিয়েছেন যে বিভিন্ন বাঙালি অধ্যুষিত পাড়ায় গিয়ে তিনি প্রচার করছেন। একই ভাবে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচার করছেন বিজেপির বিভিন্ন প্রাদেশিক নেতারা।
তবে বিজেপির সব নেতা অতটা নিশ্চিত নন দলের ফলাফলের বিষয়ে। দিল্লিতে প্রায় ২০-২৫ ফ্লোটিং ভোটার আছেন, যারা শেষে ঠিক করেন কাকে ভোট দেবেন। এদেরকে বিজেপির দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে দল।
আম আদমি পার্টির নেতারা বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।