দিল্লিকে নাবালিকাকে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিক প্রমোদয় খাখা বীর্যের নমুনা পরীক্ষা করাতে চাইছে পুলিশ। তবে তার জন্য বীর্যের দিতে অস্বীকার করেছেন ওই সরকারি আধিকারিক। উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়ার পরেই ওই সরকারি আধিকারিক আদালতে দাবি করেছিলেন যে ১৮ বছর আগে তিনি ভ্যাসেকটমি (বন্ধ্যাত্বকরণ) করিয়েছিলেন। তাই ধর্ষণের ফলে নাবালিকা যে গর্ভবতী হয়েছিল সে কথা মিথ্যে। তবে নমুনা দিতে অস্বীকার করায় এবার এবিষয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানাবে পুলিশ। এদিকে, নাবালিকা মেয়েটির অভিযোগ, তাকে আরও বেশ কয়েকজন ধর্ষণ করেছিল। তার ভিত্তিতে একটি নতুন মামলার রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ২০ বছর আগেই বন্ধ্যাত্বকরণ হয়েছিল অভিযুক্ত আধিকারিকের! দিল্লি ধর্ষণ মামলায় দাবি আইনজীবীর
অভিযোগকারীর কাছ থেকে পাওয়া নতুন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় ধর্ষণ এবং পকসো আইনের ৬ ধারার অধীনে নিউ উসমানপুর থানায় এই নতুন মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। নতুন এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তরপূর্ব) জয় তিরকি। তিনি জানান, মামলার তদন্তের সময় নাবালিকা অভিযোগ করেছে সে যখন নিউ উসমানপুর এলাকায় তার পরিবারের সঙ্গে থাকত সেই সময় তাকে কয়েকজন মিকে ধর্ষণ করেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে।
এদিকে, প্রমোদয় খাখার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরেই তাঁকে মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর পদ থেকে বরখাস্ত করেছে দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে। অভিযোগ তিনি এই সময়ের মধ্যে লাগাতার নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিলেন। তার জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল ওই নাবালিকা। তাঁর স্ত্রী সীমা রানী মেয়েটিকে গর্ভপাতের জন্য ওষুধ দেন বলেও অভিযোগ ওঠে। তারপরেই পুলিশ ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করে।
জানা যায়, খাখা নাবালিকার বাবার বন্ধু। ২০২০ সালের অক্টোবরে মেয়েটির বাবা মারা যাওয়ার পর খাখার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। অভিযুক্তের আইনজীবী দাবি করেছেন যে খাখা ২০০৫ সালের নভেম্বরে ভ্যাসেকটমি করিয়েছিলেন। তাই ধর্ষণের ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হওয়ার যে দাবি করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। গ্রেফতার করার পর খাখাকে আদালতে পেশ করার আগে পুরুষত্ব পরীক্ষা করা হয়েছিল। একজন ব্যক্তি যৌন নিপীড়ন করতে সক্ষম কিনা তা প্রমাণ করার জন্য পুরুষত্ব পরীক্ষা করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধর্ষণের পাশপাশি পকসো আইনে মামলার রুজু হয়েছে।