মৃত বন্ধুর মেয়েকে দিনের পর দিন ধরে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে দিল্লির এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে। তবে এবার সেই ঘটনায় নয়া মোড়। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ধৃত সরকারি আধিকারিকের আইনজীবীর দাবি, ওই ব্যক্তি ২০ বছর আগে ভ্যাসেকটমি করেছেন। সেক্ষেত্রে তিনি ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার জেরে সে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল এই তত্ত্বও খাটে না।
আইনজীবী উমাশংকর গৌতম জানিয়েছেন, যে তদন্ত চলছে সেটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আমরা সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য তৈরি। গর্ভবতী হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। ২০ বছর আগে তার ভ্যাসেকটমি হয়েছে। তার মাধ্য়মে কোনওভাবেই গর্ভবতী হওয়া সম্ভব নয়। পুলিশ সব পরীক্ষা করেছে।
আইনজীবীর দাবি, ২০ বছর আগেই অভিযুক্ত ব্যক্তির বন্ধ্যাত্মকরণ করা হয়েছিল। তারপর তিনি কীভাবে অন্যকে গর্ভবতী করবেন?
এদিকে এবার সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন তাহলে ওই নাবালিকা গর্ভবতী হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে সেটা কতটা সত্যি? নাকি এর পেছনে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে? অথবা যে ভ্য়াসেকটমির কথা বলা হচ্ছে সেই সার্টিফিকেটের কতটা সত্যতা রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ২০২০ সালে ওই কিশোরীর বাবার মৃত্যু হয়েছিল। তিনিও দিল্লির আধিকারিক ছিলেন। এরপরই ওই মেয়েটিকে দেখাশোনা করবেন বলে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন অভিযুক্ত ডেপুটি ডিরেক্টর। তিনি নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরে কর্মরত ছিলেন।
মেয়েটির মা দিল্লি সরকারের একজন আধিকারিক।
ওই মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। সে ২০২০ সালে তার বাবাকে হারায়। এরপর ওই আধিকারিক তাকে লালন পালন করার জন্য নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর থেকে শুরু হয় যৌন অত্যাচার। অভিযোগ এমনটাই। ২০২০- ২০২১ সালের মধ্য়ে ওই ব্যক্তি একাধিকবার ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এদিকে এরপর ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়েন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে আধিকারিকের স্ত্রী তাকে গর্ভনিরোধক পিল খাইয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
ওই আধিকারিককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপরই ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে POCSO আইনে মামলা করা হয়েছে।