একাধিক রাজ্য ভ্যাকসিনের ঘাটতির কথা বলেছে। কিন্তু মানতে নারাজ কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের দাবি, দেশে ভ্যাকসিনের কোনও ঘাটতি নেই। সব রাজ্যকেই তাদের প্রয়োজন মতো ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানান, ভ্যাকসিনের কোনও ঘাটতি নেই। সরকারের তরফে প্রতিটি রাজ্যকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের উচিত ভ্যাকসিনকে বিভিন্ন সেন্টারে পৌঁছে দেওয়া। বিভিন্ন সেন্টারে যাতে সময়ের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে ভ্যাকসিন পৌঁছে যায়, সেই ব্যবস্থাই রাজ্যগুলির করা উচিত। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রবিবার থেকে শুরু হওয়া টিকা উৎসব বুধবার শেষ হয়েছে। কেন্দ্রের দাবি, এই টিকা উৎসবের ফলে ১১ কোটি মানুষের কাছে করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড, উত্তরাখণ্ড ও অসমে ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এসব রাজ্যে চাহিদামতো ভ্যাকসিনের জোগান নেই। নতুন করে যাতে ভ্যাকসিনের জোগান দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে রাজ্যগুলির পক্ষ থেকে। এই রাজ্যেও ভ্যাকসিনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন না থাকার কারণে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। এরইমধ্যে আশার খবর, রাজ্যে এসেছে তিন লাখ কোভিশিল্ড ডোজ। রাত ১০টার পর আরও দু'লাখ কোভ্যাক্সিন এসে পৌঁছাবে। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালে করোনা বেডের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।এতদিন সরকারি হাসপাতালে করোনার জন্য বেড সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৬০৪টি। সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৭ হাজারা ৪২৮টি।এম আর বাঙুর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, বেলেঘাটা আইডি ও চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।