ভারতের সংবিধানের অষ্টম তফসিলে উল্লেখ করা সমস্ত ভাষাকেই রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দিতে হবে বলে ফের একবার সোচ্চার হলেন তামিলনাড়ু মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন। এছাড়াও তিনি বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বরকে 'হিন্দি দিবস' এর আখ্যা না দিয়ে, 'ভারতীয় ভাষা দিবস' হিসাবে আখ্যা দেওয়ার কথা।
কার্যত অমিত শাহকে টার্গেট করে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন বলেন, যদি প্রতিটি আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে এতটা উদ্বেগ থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর, তাহলে হিন্দি আর সংস্কৃততে যেভাবে বিনিয়োগ করা হচ্ছে, সেভাবে স্থানীয় অন্য ভাষাতেও করা হোক। এই প্রসঙ্গে, অমিত শাহকে টার্গেট করে এমকে স্টালিন বলেন, ' কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তা করবে না। কারণ তাঁরা চেষ্টা করছে হিন্দিকে জাতীয় শিক্ষা নীতিতে চাপিয়ে দিতে'। উল্লেখ্য, বুধবার ছিল হিন্দি দিবস। সেখানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, হিন্দি সব ভাষার বন্ধু 'এটি গোটা দেশকে ঐক্যবদ্ধ করে।' অমিত শাহের এই বক্তব্যের পরই পাল্টা তোপের সুর উঠে আসে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে। যুদ্ধবিমান F16 এর ভরণপোষণে পাকিস্তানকে সাহায্য আমেরিকার! রাজনাথ করলেন পদক্ষেপ
হিন্দি ভাষাকে অফিশিয়াল ভাষা হিসাবে তুলে ধরার ইস্যুতে অমিত শাহ বলেন,'কিছু মানুষ ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন যে, হিন্দি ও গুজরাতি, হিন্দি ও তামিল, হিন্দি ও মারাঠি একে অপরের প্রতিযোগী। হিন্দি কোনও ভাষারই প্রতিযোগী হতে পারে না। এটা বুঝতে হবে যে হিন্দি সমস্ত ভাষার বন্ধু।' উল্লেখ্য, ১৪ সেপ্টেম্বর দিনটিকে হিন্দি দিবস হিসাবে পালন করা হয়। আর সেই দিনটিকেই 'ভারতীয় ভাষা দিবস' এর আখ্যা দেওয়ার দাবি তোলেন এমকে স্ট্যালিন। তিনি বলেন, দেশকে 'হিন্দিয়া' না গড়ে 'ইন্ডিয়া' হিসাবে দেখা উচিত। সাফ ভাষায় তাঁর বার্তা, 'এটা ইন্ডিয়া, হিন্দিয়া নয়। কেন্দ্রের তরফে তামিল সহ সরকারি ভাষাগুলিকে অফিশিয়াল ভাষা ঘোষণা করা হোক।' তিনি বলেন, ‘ভারতের সংস্কৃতি ও ইতিহাস বোঝার জন্য হিন্দি শেখা উচিত, এটা বলা ভারতের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের নীতির পরিপন্থী।’ স্ট্যালিনের বক্তব্য, ‘ভারতের সংস্কৃতি ও ইতিহাস হিন্দিতে লুকিয়ে নেই।’