কোভ্যাক্সিনে কি নবজাতক বাছুরের সেরাম থাকে? কংগ্রেস নেতা গৌরব পালোধির একটি টুইটকে ঘিরে সেই রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বুধবার কেন্দ্রের সেই ‘ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা’ তথ্য খারিজ করে দেওয়া হল। জানানো হল, যে কোভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে, তাতে নবজাতক বাছুরের সেরাম নেই।
কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে, টিকা তৈরির জন্য নবজাতক বাছুরের সেরাম ব্যবহার করা হয়। শেষপর্যন্ত যে টিকা প্রদান করা হয়, তাতে সেই সেরাম থাকে না। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শুধুমাত্র ভেরো সেল তৈরির নবজাতক বাছুরের সেরাম ব্যবহার করা হয়। ভেরো সেল তৈরির জন্য বিশ্বজুড়ে গরু এবং অন্যান্য পশুর সেরাম হল স্বীকৃত উপকরণ। ভেরো সেল কোষের জীবন তৈরি করে। যা টিকা উৎপাদনের কাজে লাগে। দশকের পর দশক ধরে সেই পন্থা ব্যবহার করা হয়। পোলিয়ো, জলাতঙ্ক এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকার ক্ষেত্রেও তা ব্যবহৃত হয়।’
মঙ্গলবার কংগ্রেস নেতা গৌরব টুইটারে তথ্য জানার অধিকার আইনের নথি পোস্ট করেন। সঙ্গে লেখেন, 'একটি আরটিআইয়ের জবাবে মোদী সরকার স্বীকার করে নিয়েছে যে কোভ্যাক্সিনে নবজাতক বাছুরদের সেরাম থাকে। যা ২০ দিনের কম বয়স্ক বাছুরদের হত্যার পর জমাট বাধা রক্ত থেকে সংগৃহীত একটি অংশ। এটা নৃশংস। এই তথ্য আগে জনসমক্ষে আনা উচিত ছিল।'
সেই টুইটের পরই বিতর্ক তৈরি হয়। তার জেরে আসরে নামতে বাধ্য হয় কেন্দ্র। বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ভেরো সেল তৈরি হয়ে যাওয়ার পর একাধিকবার জল এবং রাসায়নিক নিয়ে ধোয়া হয়। ভেরো সেলে যাতে নবজাতক বাছুরের সেরাম না থাকে, সেজন্যই সেই কাজ করা হয়ে থাকে। তারপর ওই ভেরো সেলগুলিকে করোনাভাইরাস সংক্রমিত করা হয়। ভাইরাস তৈরির জন্য ভেরো সেল সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। পরে সেই ভাইরাসকেও মেরে দেওয়া হয়। টিকা তৈরির জন্য সেই মৃত ভাইরাস ব্যবহার করে থাকে। তাই টিকায় নবজাতক বাছুরের সেরাম থাকে না। চূড়ান্ত পর্যায়ে টিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয় না নবজাতক বাছুরের সেরাম।