পরের মাস থেকে বাড়ি বাড়ি করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করবে সরকার। তবে সেই সব জায়গাতেই এই প্রকল্প চালানো হবে যেখানে ৫০ শতাংশেরও কম মানুষ টিকা নিয়েছেন। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এই কথাই জানানো হয়েছে।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, পরের মাস থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ‘হর ঘর দস্তক’ নামে একটি প্রচার শুরু করা হবে। এই প্রচারের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি টিকাকরণ কর্মসূচি চালানো হবে। স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া প্রয়োজন, তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেবেন। পাশাপাশি যাদের প্রথম ডোজ নেওয়া প্রয়োজন, তাঁদের প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, সারা দেশে এখন মোট ৪৮টি জেলায় যেখানে মোট জনসংখ্যার ৫০ শতাংশেরও কম টিকাকরণ হয়েছে, সেখানে কেন্দ্রের এই বিশেষ অভিযান চালানো হবে।
এদিন সব রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত এলাকার স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী। বৈঠকের পরই এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানান, পরিসংখ্যান অনুযায়ী সারা দেশে মোট জনসংখ্যার ৭৭ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ পেয়েছেন মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ মানুষ। ১০ কোটিরও বেশি মানুষ এখনও করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেননি। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জানান, যাদের দ্বিতীয় ডোজের প্রয়োজন, তাঁদের যাতে খুব তাড়াতাড়ি দ্বিতীয় ডোজটি দেওয়া হয়, সেই বিষয়ে জোর দিতে হবে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রায় ৩ কোটি ৯২ লাখেরও বেশি মানুষ রয়েছেন যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার নির্ধারিত সময় ৬ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। ১ কোটি ৫৭ লাখ মানুষ এমন রয়েছেন যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার নির্ধারিত সময় ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ১ কোটি ৫০ লাখেরও বেশি মানুষ রয়েছেন, যাদের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময়সীমা দুই থেকে ৪ সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় শাসিত এলাকায় মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মানুষকে করোনার দুটি ডোজই দেওয়া হয়ে গিয়েছে।