দিনে বিদ্যুতের দামে ছাড় দেওয়া হবে। কিন্তু রাতে যখন বিদ্যুতের চাহিদা শীর্ষে পৌঁছে যাবে, তখন বাড়তি টাকা গুনতে হবে গ্রাহকদের। ভারতে এমনই নীতি চালু করা হচ্ছে বলে সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে সেই নয়া নীতি কার্যকর হবে। তার ফলে পুনর্নবীকরণ বিদ্যুৎ ব্যবহারের পথে ঝুঁকবেন দেশবাসী। সেইসঙ্গে রাতে লাগামছাড়াভাবে এসির ব্যবহার রুখতে সেই নীতি চালু করা হচ্ছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৭ সালের মার্চের মধ্যে ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কারণ এসির ব্যবহার এবং শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যুতর ব্যবহার অত্যন্ত বাড়বে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার নয়া বিদ্যুৎ নীতি চূড়ান্ত করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক। যা আগামী বছরের এপ্রিল থেকে বাণিজ্যিক এবং শিল্পের গ্রাহকদের জন্য চালু হতে চলেছে। ২০২৫ সাল থেকে অধিকাংশ গ্রাহকরা সেই নয়া নীতির আওতায় চলে আসবেন। শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্রের প্রয়োজ্য হবে না বলে ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: AC bill saving tips: ১৮-তে AC না চালিয়ে এই তাপমাত্রা রাখুন, ৩০% কমবে বিদ্যুতের বিল, লাগবে না গরমও
কিন্তু সেই নীতি নেওয়া হচ্ছে?
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রীষ্মকালে রাতে ব্যাপকভাবে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) ব্যবহার করা হচ্ছে। নয়া নীতিতে যেহেতু রাতের বেশি বিদ্য়ুতের দাম গুনতে হবে, তাতে সেই প্রবণতা কমতে পারে। বিদ্যুতের লোড কমবে। রাতে কারেন্ট অফ হওয়ার আশঙ্কা কমবে। সেইসঙ্গে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমবে (যেহেতু তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয়)।
কত টাকা খরচ পড়বে?
ওই সংবাদসংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাধারণত যে দাম পড়ে, তার থেকে দিনের বেলায় বিদ্যুতের দর ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ কমবে। আর রাতে বিদ্যুতের দাম ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ বেশি পড়বে। কেন্দ্রীয় শক্তিমন্ত্রী আরকে সিং বলেন, ‘সৌরবিদ্যুতের দাম কম, তাই দিনের বেলায় বিদ্যুতের দাম কম পড়বে। তাই গ্রাহকরা বাড়তি সুবিধা পাবেন। রাতের বেলায় একইসঙ্গে তাপবিদ্যুৎ এবং জলবিদ্যুৎ ও গ্যাস-নির্ভর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। যা সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে বেশি। যা দৈনন্দিন বিদ্যুতের দামে প্রভাব ফেলবে।’