আগেই ঘোষণা করেছিলেন নির্মলা সীতারামন। এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিজ্ঞপ্তি দিল Employees' Provident Fund Organisation (EPFO)। প্রায় ছয় কোটি গ্রাহক তাদের তিন মাসের বেসিক পে ও ডিয়ারনেস অ্যালোয়ায়েন্সের টাকা তুলতে পারবেন। অথবা তাদের পিএফ অ্যাকাউন্টে যত টাকা আছে, তার ৭৫ শতাংশ টাকা তুলতে পারবেন। এই দুইয়ের মধ্যে যেটি কম, সেটই নিতে পারবেন ইপিএফও-র সদস্যরা।
আট দফায় সমাজের প্রান্তিক মানুষের হাতে সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। একই সঙ্গে সংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা যাতে প্রয়োজনে তাদের জমানো টাকা ভাঙাতে পারেন, সেই সিদ্ধান্তও নিয়েছে মোদী সরকার। সেই সিদ্ধান্তের অধীনে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে টাকা তোলার ক্ষেত্রে শর্ত হিসাবে এবার মহামারীকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে যে সব সংস্থা EPF Scheme, 1952-এর সদস্য, সেখানে কর্মরত মানুষ অগ্রিম টাকা তুলতে পারবেন। ২৮ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চালু হল এই নিয়ম।
একই সঙ্গে সমস্ত অফিসকে ইপিএফও নির্দেশ দিয়েছে যাতে এই সংক্রান্ত কোনও আবেদন এলে দ্রুত সেটিকে অনুমোদন দেওয়া হয় যাতে স্বস্তি পান বিপাকে পড়া মানুষ। লকডাউনের জেরে বেহাল অর্থনীতি। এই সময় প্রয়োজনে মানুষ যাতে তাদের গচ্ছিত অর্থ ব্যবহার করতে পারেন, তারই পথ সুগম করে দিল কেন্দ্র।