এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের তিন আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা করল সিবিআই। ২ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে এই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য ব্যবহার করে পেনশন ফান্ড থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা সরানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সিস্টেম ও তার ফাঁকফোকর সম্পর্কে ভালো করে জানতেন অভিযুক্তরা। তাঁরা খুব সহজেই পরিযায়ী শ্রমিকদের তথ্য ব্যবহার করে কারচুপি করতে শুরু করেছিলেন।
গত ১৮ মে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি এই বিষয়ে প্রথম অভিযোগ জানান। এরপর কারচুপির বিষয়ে খতিয়ে দেখতে শুরু করে ইপিএফওর ভিজিল্যান্স দফতর। তাদেরই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিবিআই। এই জালিয়াত কাণ্ডে তদন্তকারীদের নজরে তিনজন আধিকারিক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মূল অভিযুক্তের নাম চন্দনকুমার সিনহা। তিনি কান্দিভালির স্থানীয় ইপিএফও অফিসের একজন সিনিয়র আধিকারিক। তাঁ সঙ্গে সিবিআই-এর নজরে রয়েছে কোয়াম্বাটুর অফিসের উত্তম তাগারে এবং চেন্নাইয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রভিডেন্ট ফান্ড কমিশনার বিজয়ারপে।
জানা গিয়েছে পরিযায়ীদের আধার কার্ড নম্বর এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে ভুয়ো পিএফ অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হত। এভাবেই টাকা আত্মসাৎ করতে থাকেন অভিযুক্তরা। প্রতিটি 'ক্লেমে' ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা তুলতেন অভিযুক্তরা। দীর্ঘদিন ইপিএফও-তে কাজ করার দরুণ তাঁরা জানতেন যে কেবলমাত্র ৫ লক্ষ টাকার বেশি টাকা তুললেই সেই সংক্রান্ত নথি সিনিয়র অফিসারদের কাছে যায় যাচাইয়ের জন্য।