বিহারের সরান জেলার চিরান্দ। প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদে সমৃদ্ধ। প্রাচীন নানা নির্দশন রয়েছে এখানে। গঙ্গার তীরে সেই ঐতিহাসিক স্থানে ফের ভাঙনের আতঙ্ক। ভারী বৃষ্টিতে গঙ্গার জল সীমা বাড়ছে। এর জেরে যে কোনও সময়ে তলিয়ে যেতে পারে এই ঐতিহাসিক স্থানের একাংশ। শুরু হতে পারে ভয়াবহ ভাঙন। ইতিমধ্যেই ভাঙন মোকাবিলার জন্য চিরান্দ বিকাশ পরিষদ রাজ্য আর্কিওলজি ডিপার্টমেন্টে চিঠি পাঠিয়েছে। চিরান্দ বিকাশ পরিষদের সম্পাদক শ্রীরাম তিওয়ারি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন চিরান্দ আর্কিওলিজাল সাইটের একাংশ গঙ্গাগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। ফের সেই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যে কোনও বড় অংশ তলিয়ে যেতে পারে। শনিবার আমরা এনিয়ে একটা চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করছি দিন কয়েকের মধ্যেই আমরা উত্তর পাব।
প্রসঙ্গত মানবসভ্যতার নানা ক্রমবিবর্তনের ধারা চিরান্দে রক্ষিত রয়েছে। দেশের মধ্যে অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসাবে এর খ্য়াতি রয়েছে। নিওলিথিক থেকে পাল যুগ পর্যন্ত সভ্যতার নানা বিবর্তন এখানে বোঝা যায়। ১৯৬০ সালে এখানে খনন কাজ করার ফলে কুষাণ যুগের নানা নির্দশন পাওয়া যায়। অভিযোগ বর্তমানে বিভিন্ন এলাকা ঘাসে আর ঝোপঝাড়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। কার্যত অযত্নের ছাপ রয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। আর্কিওলজিকাল বিভাগের এক আধিকারক জানিয়েছেন, জায়গাটি দেখভালের জন্য দুজন কর্মীকে রাখা রয়েছে। কিন্তু তারা ওখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানায়না। কেপি জয়সওয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন অধিকর্তা সিপি সিনহা বলেন, চিরান্দের সংরক্ষণ খুব দরকার। এটাই রাজ্যের একমাত্র জায়গা যেখানে সভ্যতার ক্রম বিবর্তন বোঝা যায়।