সুবিধা এক্সপ্রেস। যাত্রীদের সুবিধা দিতে এই এক্সপ্রেস। কিন্তু পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে সুবিধা তো দূর অস্ত এটা তো প্রবল অসুবিধার। আসলে যখন টিকিটের প্রবল চাহিদা থাকে তখন যাতে যাত্রীরা একটু বেশি ভাড়া দিয়ে মোটামুটি টিকিট নিশ্চিত করতে পারে সেটার জন্যই এই সুবিধা এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল। কিন্তু একটু বেশি মানে এতটা বেশি! পরিস্থিতি এমন দিকে যাচ্ছে যে একটু সস্তার বিমানের যা ভাড়া তার মতোই হয়ে যায় এই ট্রেনের ভাড়া।
উৎসবের মরশুমে অনেকেই বাড়ি ফিরতে চান। তখন টিকিট পাওয়া যায় না। সেই সময় ভরসা বলতে এই সুবিধা এক্সপ্রেস। এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও এই সুবিধা এক্সপ্রেসের এই বিপুল ভাড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি প্রাক্তন রেলমন্ত্রীও।
এদিকে নিয়ম অনুসারে সুবিধা এক্সপ্রেসের ট্রেনের ভাড়া ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে। কিন্তু তা বলে একেবারে ট্রেনের ভাড়া বিমানের মতো হয়ে যাবে এটা কীভাবে সম্ভব?
তবে সাধারণ যাত্রীদের মধ্য়েও এই ট্রেনের ভাড়া নিয়ে প্রবল অসন্তোষ রয়েছে। অনেকের মতে এর থেকে তো বিমানে যাওয়া ভালো। বিমানে সময়ও কম লাগে। তাহলে ট্রেনে চড়বেন কেন মানুষ?
বলা হচ্ছে, জয়পুর-বেঙ্গালুরু ও মুম্বই পটনা রুটে এই ট্রেনের এসি টু টায়ারের ভাড়া হয় ১১,২৩০ টাকা ও ৯৩৯৫ টাকা। এমনকী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এসি টু টায়ারের ভাড়া এতটাই বেড়েছে বলে দেখানো হচ্ছে।
এদিকে অনেকের কাছেই উৎসবের মরশুমে বড় ভরসার জায়গা এই সুবিধা এক্সপ্রেস। আর সেই সুবিধা এক্সপ্রেসের ভাড়া একেবারে পিলে চমকানো। সূত্রের খবর, উৎসবের মরসুমে হাওডা় ও শিয়ালদা থেকে নিউ জলপাইগুড়িগামী দুটি সুবিধা এক্সপ্রেস চালানো হয়েছিল। ওই দুই ট্রেনে যাত্রী পিছু ১৬০৭ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। রেলের দাবি এক্ষেত্রে ট্রেনের ভাড়া সেভাবে বাড়েনি। তবে যাত্রীদের একাংশের দাবি, আসল বিষয়টি হল এই ট্রেনের কথা অনেকেই জানতেন না। সেকারণে টিকিট না পেলেও সুবিধা এক্সপ্রেসে যাননি অনেকে। টিকিটের চাহিদা না থাকায় ভাড়াও বাড়েনি। আর সেই ট্রেনে যদি যাত্রী সংখ্য়া বাড়ত , টিকিটের চাহিদা যদি বাড়ত তবে ভাড়াও বাড়ত ক্রমশ।