আর কয়েকদিন হলেই কৃষক আন্দোলনের এক বছর পূরর্তি। আর তার আগেই গুরু নানক জয়ন্তীর দিন 'উপহার' স্পরূপ ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দেন যে তিনটি কৃষি আইনই প্রত্যাহার করা হবে। আর সকাল ৯টার কিছু পর প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই উত্সবের আবহাওয়া তৈরি হয় সিঙ্ঘু-টিকরি সীমানায়। শুরু হয় একে অপরকে মিষ্টি-জিলিপি খাওয়ানোর পালা। পুনরায় দীপাবলি উপস্থিত হয় সেখানে। চলে বাজি পোড়ানো।
দীর্ঘ আন্দোলনের সামনে কতকটা রাজনৈতিক কারণেই ব্যাকফুটে যায় কেন্দ্রীয় সরকার। শুক্রবার সকালে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পরই খুশির হাওয়া বইতে শুরু করে আন্দোলনকারী কৃষকদের মধ্যে। তবে এমএসপি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও ঘোষণা না হওয়ায় খানিক শ্লেষ শোনা গেল অনেকেরই গলায়। আদতে কৃষি আইন প্রত্যাহার কৃষকদের পাঁচটি দাবির একটি ছিল।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী আজকেই কৃষকদের বাড়ি ফেরার অনুরোধ করলেও দিল্লি সীমানা থেকে যে আজকেই আন্দোলকারীরা ফিরছেন না, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত। গত প্রায় এক বছরে যেই স্থানগুলি কৃষকদের দুর্গে পরিণত হয়েছে, সেখানে খুশির হাওয়া স্পষ্ট হলেও ছিল প্রত্যয়ের দৃঢ়তা। শুধু কৃষি আইন প্রত্যাহার নয়, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য, কিষান মান্ডির ক্ষমতা বৃদ্ধি-সহ আরও একাধিক দাবি ছিল কৃষকদের। ফলে বলা যেতে পারে তাঁদের মূল দাবি মেনে নিল কেন্দ্র। কিন্তু বাকি দাবিগুলির কী হবে, সেটাও একটা প্রশ্ন। রাকেশ তিকাইত জানান, তাঁদের আন্দোলন এখনই শেষ হচ্ছে না। সরকারের কাছ থেকে বাকি দাবিগুলি আদায় তো তাঁরা করবেনই। একই সঙ্গে সংসদেও এই আইন বাতিলের বিষয়টি পাস করাতে হবে।