হিন্দু দেবদেবীর বিরুদ্ধে ‘অশালীন’ মন্তব্যের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল গুজরাতের এক স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানকে। সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের চার স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। গ্রেফতারির আগে তাঁদের হেনস্থারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি বিজেপি-শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাতে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের একটি ক্যাফেতে নয়া বছরের অনুষ্ঠান করছিলেন গুজরাতের স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকি। সঙ্গে ছিলেন এডভিন অ্যান্থনি, প্রখর ব্যাস, নলিন যাদব এবং প্রিয়ম ব্যাস। সেই সময় হিন্দু রক্ষক সংস্থার সদস্যরা ক্যাফের মধ্যে এসে হইচই শুরু করেন। অভিযোগ করেন, হিন্দু দেবদেবী, হিন্দু আচার, গোধরায় মৃত করসেবক এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে। ওই পাঁচজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তারইমধ্যে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োয় দেখা যায়, ভিড়ের মধ্যে কমেডিয়ানদের হেনস্থা করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োর অবশ্য সত্যতা যাচাই করেনি 'হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা'। যদিও থানার ইনচার্জ কমলেশ শর্মা জানিয়েছেন, হেনস্থার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। হিন্দু রক্ষক সংস্থার আহ্বায়ক একলব্য সিংও একই দাবি করেছেন।
ধৃত পাঁচজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-এ (ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের জন্য ইচ্ছাকৃত এবং বিদ্বেষপরায়ণ কাজ), ২৯৮ (ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের চেষ্টা), ২৬৯ (জীবনের পক্ষে ক্ষতিকারক রোগের সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকা অবহেলামূলক কাজ)-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এফআইআরের বয়ান অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়াই ক্যাফেতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে চলা হয়নি। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের জন্য অশ্লীল কৌতুক এবং প্ররোচনামূলক মন্তব্য করারও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
পরে তাঁদের একটি স্থানীয় আদালতে তোলা হয়। সেখানে ধৃতদের জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে এবং তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।