একেবারে জলের দরে ফ্ল্যাট বিক্রি। চিনে ফ্ল্যাটের দাম শুনলে অবাক হয়ে যাবেন। মিন্টের খবর অনুসারে জানা গিয়েছে চিনের হেবি এলাকায় এক ব্যক্তি এনিয়ে তাঁর ১৫তম সম্পত্তি কিনলেন। মাত্র ১৮,০০০ চিনের মুদ্রায় তিনি এই ফ্ল্যাট কিনেছেন। ভারতীয় টাকায় যার দাম মাত্র ২ লাখ টাকা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, একেবারে সস্তা হয়ে গিয়েছে ফ্ল্যাটের দাম। বাঁধাকপির মতো সস্তা।
চিনের কিছু জায়গায় আচমকাই ফ্ল্যাটের দাম সস্তা হয়ে গিয়েছে। তবে বলা ভালো বছর দুয়েক ধরেই এই ট্রেন্ড চলছে। হেবি এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের দাম হয়েছে মাত্র ১০০০ ইউয়ান। ভারতীয় টাকায় যার দাম ১১,৫০০ টাকা। তবে কর আর ফি বাদ দিয়ে এই দাম দাঁড়াচ্ছে। চিনের রিয়েল এস্টেট প্লাটফর্ম আঞ্জুকের মতে ২০২১ সালে চিনে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছিল। আর সেই নিরিখে বর্তমানে দাম প্রায় ২৭ শতাংশ কমে গিয়েছে।
আসলে অনেকের মতে, সম্পত্তিতে বিনিয়োগের প্রবণতা কমছে চিনে। আর তার জেরেই রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলি তাদের ফ্ল্যাটের দাম কম করে দিচ্ছে। বহুক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে ছোট শহরে অন্য় জায়গা থেকে অনেকে এসে ফ্ল্যাট কিনতে আসছেন। তারা কেউই স্থানীয় বাসিন্দা নন। আবার অনেকেই সেই ফ্ল্যাটে থাকতে চাইছেন না। কেবলমাত্র কিনে রাখতে চাইছেন। সেই নিরিখে অল্প দামে যা পাচ্ছেন সেটাই কিনে নিচ্ছেন।
অনেকে যাদের ইনকাম কম, কম বয়স তারা কম দামে এই ফ্ল্যাট কেনার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
মূলত চিনের ছোট শহরগুলিতে এই কম দামের ফ্ল্যাট গড়ে উঠেছে। তবে অনেকের মতে, আসলে কোভিড অতিমারির সেই ভয়াবহতার জেরে চিনের অর্থনীতির উপর মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল। সেটা পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি চিন।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে চিনের বাজারেও মন্দা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ক্রেতাদের চাহিদাও আগের থেকে অনেক কমে গিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশজুড়ে বেকারত্ব। এর জেরে আগামীদিনে চিনের অর্থনীতেতে বড় প্রভাব পড়তে পারে। মতামত অনেকের।