ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় গতকাল রাহুল গান্ধীকে তলব করেছিল ইডি। এই আবহে কংগ্রেসের তাবড় নেতারা কয়েক হাজার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ইডি দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তবে এই কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল না কংগ্রেসের কাছে। এর জেরে বিক্ষোভকারী কংগ্রেস নেতাদের পুলিশ আটক করে। সেই সময় ধস্তাধস্তিো হয় দুই পক্ষের। আর এই সবেরই মাঝে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরমের পাঁজরের হাড়ে চিড় ধরেছে বলে জানা গিয়েছে। এককালে যে দিল্লি পুলিশ তাঁর অধীনে ছিল, সেই দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলছেন দেশের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। অভিযোগ, তাঁর চশমা মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর বাম পাঁজরে চিড় ধরেছে।
জানা গিয়েছে, দিল্লি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় গুরুতর আহত হয়েছেন সদ্য রাজস্থান থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত কংগ্রেস সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারিও। অভিযোগ, সাংসদ প্রমোদ তিওয়ারিকে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়। তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন, পাঁজর ভেঙেছে। এদিকে গুরুতর আঘাত পেয়েও অবিচল চিদম্বরম। এক টুইটে প্রাক্তন মন্ত্রী লেখেন, ‘চিড় দিন দশকের মধ্যে সেরে যাবে। আমি ভালো আছি এবং আমি আগামিকাল নিজের কাজে যাব।’
গতকাল রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লি পুলিশের তরফে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়, কংগ্রেসকে জানানো হয়েছিল বড় জমায়েত থাকলে যন্তর-মন্তরে যেতে। তবে তারা তা না করায় পুলিশ বিক্ষোভ প্রদর্শকারীদের আটক করতে বাধ্য হয়। এদিকে কংগ্রেসের দাবি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, হরিষ রাওয়াত, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, অধীর চৌধুরী, সচিন পাইলট, মল্লিকার্জুন খড়গে, কেসি বেণুগোপাল সহ তাবড় কংগ্রেস নেতাদের আটক করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন যে তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছে পুলিশ।