সম্প্রতি রাজ্যসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের প্রকাশিত প্রার্থীদের তালিকায় গুলাম নবি আজাদের নাম ছিল না। ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করা কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা গুলাম এর জেরে ক্ষুব্ধ। সূত্রের খবর, তিনি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। এদিকে হাই কমান্ডের তরফে নাকি গুলাম নবি আজাদকে কংগ্রেসের ‘নম্বর ২’ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে কংগ্রেসের দুই নম্বর নেতা হয়ে কাজ করতে অস্বীকার করেন গুলাম নবি আজাদ।
সূত্রের মতে, সোনিয়া গান্ধীর সাথে কথোপকথনে তিনি রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে কথা বলেননি। তবে আজাদকে নাকি সোনিয়া জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি দলের দুই নম্বর অবস্থানে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন কিনা। এই প্রশ্নের জবাবে আজাদ নাকি বলেন, ‘আজকের দিনের যাঁরা দল পরিচালনা করছেন, সেই তরুণদের সঙ্গে আমাদের মধ্যে জেনারেশন গ্যাপ রয়েছে। আমাদের চিন্তাধারা আর তাঁদের চিন্তাধারার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এই কারণে তরুণরা দলের বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত নয়।’ এদিকে গত কয়েকদিন ধরে গুলাম নবি আজাদ অসুস্থ ছিলেন এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এই আবহে সংগঠনের দায়িত্ব নিতে নারাজ এই বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
প্রসঙ্গত, রাজস্থানের চিন্তন শিবিরের পর থেকেই দল যুব নেতৃত্বের উন্নতির দিকে কাজ করছে। দলের সংখ্যালঘু শাখার সভাপতি ইমরান প্রতাপগড়ীকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র জানিয়েছে যে এই সিদ্ধান্ত রাহুল গান্ধী নিয়েছেন। ছেলের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তবে যেহেতু কংগ্রেস আরও বেশি সংখ্যক সংখ্যালঘুদের টিকিট দিতে পারেনি, তাই সোনিয়া গান্ধী আজাদকে সংগঠনে যোগ দিতে বলেছিলেন। আজাদ বর্তমানে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং দলের রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য। এর আগে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা ছিলেন গুলাম নবি আজাদ। বর্তমানে সেই পদে আছেন মল্লিকার্জুন খড়গে। তবে গুলাম নবি আজাদ রাজ্যসভায় ফিরলে সেই সমীকরণ বদলে যাবে।