ঝাড়খণ্ড পুলিশের টিম ছত্তিশগড়ের এক রাজনৈতিক নেতারকে নাবালিকাকে যৌন অত্যাচার করার অভিযোগে খুঁজছে। আসলে ২০১৯ সালে একটি ধর্ষণ ও POCSO মামলায় পুলিশ তাকে খুঁজছে। এনিয়ে অন্তত ৫বার তার খোঁজে প্রতিবেশী রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালাল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। কিন্তু তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৯ সালে ওই কিশোরীর বয়স যখন ১৫ ছিল তখনই তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। অন্তত চারটি রাজ্যে তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কোর্টের রেকর্ড বলছে, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তারপরে আবার পূর্ব সিংভূম জেলায় তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এদিকে তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই কিশোরীর কাছে একটি ডায়েরি ছিল। যেখানে সে অভিযুক্তদের নাম আর নম্বর টুকে রাখত। এরপর যারা তাকে ধর্ষণ করত সেখানে দাগ দিয়ে রাখত। এরপর ২০১৯ সালে এক হোটেলের মালিক পূর্ব সিংভূম জেলায় পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এরপর একাধিক ধারায় মামলা শুরু করে ও কিশোরীকে উদ্ধার করে।
পূর্ব সিংভূমের সিনিয়র সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ প্রভাত কুমার বলেন, আমরা ১০জনের মধ্যে ৫জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি পাঁচজনের মধ্য়ে এক রাজনৈতিক দলের নেতাও রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।
এদিকে গ্রেফতার করতে কেন এত দেরি হল সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। আগে ওই নেতাকে ধরা যাচ্ছিল না, তবে তাকে শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নেতা অভিযুক্ত। কিন্তু তিনি ধর্ষণ করেছেন কি না তা তদন্তে দেখা হবে। এদিকে এফআইআরে ওই নেতার নাম ছিল না। পরে চার্জশিটে নেতার নাম পুলিশ যুক্ত করে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ বছর বয়সে প্রথম তাকে এক আত্মীয় ধর্ষণ করে। এরপর কাপড়ের দোকানে কাজ করার সময় তাকে অন্য একজন ধর্ষণ করে। এরপর ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে একটি ফ্ল্যাটে তাকে আটজন ধর্ষণ করে। এরপর ২০১৯ সালে পূর্ব সিংভূমে এক পুলিশের বাড়িতে ৪-৫জন পুলিশ তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। পরের কিছুদিন আরও ২-৪জন তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে বলে অভিযোগ।