ইউক্রেনের ‘যুদ্ধের’ ধাক্কায় গত বৃহস্পতিবার ১৮ মাসের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গিয়েছিল সোনা। সেখান থেকে শুক্রবার অনেকটাই কমেছে হলুদ ধাতু। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে সোনার দাম আরও কিছুটা কমতে পারে। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৯,০০০ টাকা থেকে ৪৯,৫০০ টাকার স্তরে ঠেকলে হলুদ ধাতু কেনার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে ‘সামরিক অভিযানের’ ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। বাজার খোলার মুখে সেই ঘোষণার পরেই হুড়মুড়িয়ে বেড়েছিল সোনার দাম। ১০ গ্রাম সোনার দাম লাফিয়ে বেড়েছিল। পরদিন অবশ্য সেই উত্থানে লাগাম পড়েছিল। অনেকটাই পড়েছিল হলুদ ধাতুর দাম। এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ১,২৭৩ টাকা কমে সোনার দাম দাঁড়িয়েছিল ৫০,২৭০ টাকা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া এবং ইউক্রেনের ‘যুদ্ধের’ কারণে যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল, তা কাটিয়ে উঠেছে বাজার। এখন মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত এবং মুদ্রাস্ফীতির দিকে নজর আছে বাজারের। তার জেরেই শুক্রবার কমেছে সোনার দাম। আইআইএফএল সিকিউরিটিজের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনুজ গুপ্তা বলেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে সোনার দাম অনেকটা বেড়েছিল। তবে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থেকে বাজারের মনোযোগ সরে গিয়েছে। তবে সোনার বিনিয়োগকারীদের রাশিয়া-ইউক্রেনের খবরের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ ন্যাটো যদি কোনও সামরিক পদক্ষেপ করে, তাহলে যুদ্ধের আগুন আরও জ্বলে উঠতে পারে। তবে সেটার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম। কারণ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি ইউক্রেনকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছে। সেটার অর্থ হল যে তারা সামরিক সাহায্যের পরিবর্তে ইউক্রেনকে নৈতিক সমর্থন দিতে চাইছে।’
সোনার দাম কত থাকবে?
মোতিলাল ওয়ওয়ালের অমিত সাজেজার মতে, এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম সোনার দাম ৪৯,৫০০ টাকা থেকে ৪৯,০০০ টাকার স্তরে নেমে আসতে পারে।
উল্লেখ্য, বেলারুশ সীমান্তে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ার বাহিনী কিয়েভের আরও কাছে চলে আসার মধ্যেই রবিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বেলারুশ সীমান্তে আলোচনায় বসবে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। তবে কোথায় আলোচনা হবে, কোন সময় আলোচনা হবে, তা নিয়ে নির্দিষ্টভাবে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। এএফপি জানিয়েছে, জেলেনস্কি এবং বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সজান্ডার লুকাশেনকোর ফোনালাপের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে চেরনোবিলে সেই আলোচনা হবে।