বিশ্ব বাজারের ইতিবাচক দিকের প্রভাব পড়েছে ভারতীয় বাজারেও। তার জেরে টানা চারদিন ভারতে বাড়ল সোনার দাম। বুধবার এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪৮,০৪৬ টাকা। উত্থানের সাক্ষী আছে রুপোও। এক কেজি সিলভার ফিউটার্সের দর ০.২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯,৮৬০ টাকা।
একইভাবে বিশ্ব বাজারেও বেড়েছে হলুদ ধাতুর দাম। এক আউন্স স্পট গোল্ডের দাম ০.২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১,৮৩৯.৯৯ ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্বল মার্কিন ডলারের পাশাপাশি শীঘ্রই মার্কিন আইনপ্রণেতারা বড়সড় আর্থিক প্যাকেজে অনুমোদন দেওয়ার আশায় উত্থান হয়েছে সোনার। অন্যান্য ধাতুর মধ্যে বেড়েছে রুপোর দামও। এক আউন্স রুপোর দর ০.৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৭.৩৬ ডলার। অন্যান্য একগুচ্ছ মুদ্রার নিরিখে প্রায় এক সপ্তাহে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছে ডলার। তার ফলে অন্যান্য মুদ্রাধারীদের কাছে সস্তা হয়েছে সোনার মতো পণ্য। গত বছর ২৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধির নয়া প্রথম কয়েক সপ্তাহে ভালোমতো হেরফের হচ্ছে সোনার। কয়েকটি কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের শিথিল আর্থিক নীতির ফলেও হলুদ ধাতু সহায়তা পেয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
তারইমধ্যে এশিয়ার ইক্যুইটি বাজার মূলত উচ্চস্তরেই থেকেছে। কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায়, টিকাকরণ কর্মসূচির মাত্রা বাড়তে থাকায় এবং মার্কিন আর্থিক প্যাকেজের আশায় ঝুঁকির প্রবণতা বেশি থাকছে। জো বাইডেনের ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলারের আর্থিক প্যাকেজের বিলের ফলে ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে বাজার।
কোটাক সিকিউরিটিজের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চিনা নয়াবর্ষে ক্রেতাদের মধ্যে সোনার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক কাটছাঁটের ফলে দাম কমে যাওয়ায় ভারতেও সোনার চাহিদা বাড়বে আশাবাদী বাজার।