বিশ্ব বাজারের রেশ ধরে মঙ্গলবার ভারতেও সোনা এবং রুপোর গ্রাফ উঠল না। সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ৪৪,৯৩০ টাকায় অটল আছে। যা রেকর্ড দরের থেকে প্রায় ১১,০০০ টাকা কম (গত বছর অগস্টে রেকর্ড তৈরি হয়েছিল)। এক কেজি রুপোর দর ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭,৫১০ টাকা। গত সেশনে সোনার দাম বেড়েছিল ০.৩৫ শতাংশ। আর ১.৩ শতাংশ বৃদ্ধির সাক্ষী থেকেছে রুপো।
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আর্থিক নীতি সংক্রান্ত বৈঠকের ফলাফল সামনে আগে বিশ্ব বাজারে সোনার নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় আছে। এক আউন্স সোনার দাম ১,৭৩২.৩২ ডলার। জিয়োজিতের তরফে জানানো হয়েছে, এক আউন্স সোনার দাম ১,৭০০-১,৭৩৫ ডলারের স্তরে অস্থিরতা বজায় থাকবে। যে কোনও স্তর টপকে গেলেই মঙ্গলবার সেদিকেই থাকবে সোনার গ্রাফ। আপাতত এক আউন্স সোনা ১,৭৭৫ ডলারে বাধা পাবে। অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে রুপো এবং হীরের দাম পড়েছে। এক আউন্স রুপোর দাম ০.২ কমে দাঁড়িয়েছে ২৬.২২ ডলার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি সপ্তাহের পরের দিকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের বৈঠকের দিকে নজর থাকবে সোনার লগ্নিকারীদের। আগামী বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেবে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। পরদিন আর্থিক নীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ব্যাঙ্ক অফ জাপান। কোটাক সিকিউরিটিজের তরফে জানানো হয়েছে, ১.৯ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরের ফায়দা পেয়েছে সোনা। সার্বিকভাবে বিশ্বের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি এবং করোনাভাইরাস টিকাকরণের ইতিবাচক পড়েছে হলুদ ধাতুর উপর।