ভারতে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব্যবহার সমর্থন করে না কেন্দ্র। কিন্তু দেশে অনেকেই এ বিষয়ে উত্সাহী। তাঁদের জন্যই রয়েছে সুখবর। নিউজ এইট্টিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ওয়ালেট ব্যবহারকারীরা বিটকয়েন ব্যবহার করে দৈনন্দিন বিভিন্ন দ্রব্যাদি কিনতে পারবেন।
তবে সরাসরি নয়। আগে এই বিটকয়েনের বদলে ভাউচার কিনতে হবে। এই ভাউচার পাওয়ার সুবিধাই এনেছে ইউনোকয়েন (Unocoin)। এর মাধ্যমেই বিটকয়েন দিয়ে নির্দিষ্ট দ্রব্য বা পরিষেবার ভাউচার কেনা যাবে। এর পর সেই ভাউচার দিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করা যাবে। তার তালিকায় থাকতে পারে নামী চেইনের পিত্জা, আইসক্রিম থেকে কফিও।
নূন্যতম ১০০ টাকার ভাউচার বিনিময় করা যাবে বিটকয়েনের মাধ্যমে। সর্বাধিক ৫০০০ টাকার ভাউচার কেনা যাবে এর মাধ্যমে।
রিপোর্ট অনুসারে, ভাউচারগুলি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে কেনা যাবে। ব্যবহারকারীরা 'শপ' সেকশনের আন্ডার সেখানে এই অপশনগুলি পাবেন। এর মাধ্যমেই বিভিন্ন পছন্দমতো ভাউচার পাবেন।ক্রিপ্টোকারেন্সি কী?
সহজ করে বললে, ক্রিপ্টোকারেন্সি এক প্রকার সাংকেতিক মুদ্রা। এর কোনও কাগজী রূপ নেই। শুধুমাত্র ইন্টারনেটেই এটির অস্তিত্ব রয়েছে। এটি ব্যবহার করে সাধারণ টাকার মতোই লেনদেন করা সম্ভব।
বাস্তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি পিয়ার টু পিয়ার পদ্ধতিতে লেনদেনে সাহায্য করে। ফলে এতে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির প্রয়োজন বা ভূমিকা থাকে না। সম্ভব নয় নিয়ন্ত্রণও।
ক্রিপ্টোকারেন্সির এই প্রকৃতিই কেন্দ্রের মাথা ব্যথার কারণ। কেন্দ্রের আশঙ্কা, ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে লুকিয়ে লেনদেন, আর্থিক নয়-ছয় হলেও থাকবে না নিয়ন্ত্রণের উপায়। আর সে কারণেই সরকারি ভার্চুয়াল মুদ্রা আনাই এখন লক্ষ্য কেন্দ্রের।