৩১ জানুয়ারি সংসদে শুরু হতে চলেছে বাজেট অধিবেশন। আগামী অর্থবর্ষের জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ হতে চলেছে সম্ভবত ১ ফেব্রুয়ারি।
বুধবার দিল্লিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সংসদ বিষয়ক কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তাবটি এবার মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।
প্রশাসনিক সূত্র খবর, বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধ ফেব্রুয়ারির ১১ বা ১২ তারিখ পর্যন্ত চলবে। ২ মার্চ অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হয়ে ৩ এপ্রিলে শেষ হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয় বার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে এই নিয়ে সংসদে তৃতীয় অধিবেশন আয়োজিত হতে চলেছে।
সংসদে এর আগের দুটি অধিবেশন সরকার ও বিরোধী উভয়েক দৃষ্টিভঙ্গিতেই যথেষ্ট ইতিবাচক হয়েছে। তিন তালাক বিরোধী বিল, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি করা, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশের মতো গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সরকারি পদক্ষেপ সফল হয়েছে। এ ছাড়া, সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করতেও সফল হয়েছে মোদী সরকার।
উলটো দিকে, সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের উদ্দেশে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের প্রশ্ন তুলে ধরার বিষয়ে সফল হয়েছেন বিরোধী সাংসদরাও।
সংসদের আগামী অধিবেশনের মূল নজর থাকতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাজেটের উপর। আশা করা হচ্ছে, শ্রম নীতি সংস্কার-সহ বেশ কিছু পড়ে থাকা ইস্যু নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ করার চেষ্টা করবে প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের ধারণা, ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মনে করা হচ্ছে, শনিবার সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ার কারণে বিষয়টি চূড়ান্ত করার ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করবে সরকার। তবে গত কয়েক বারের রেকর্ড বলছে, সাধারণত শনিবারই সংসদে বাজেট পেশ করা হয়।