এপিএমসি-র একাধিপত্য সরানোর পক্ষে ছিল পঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য। সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এই কথআই জানালেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। তাঁর বক্তব্য, পঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার পরই এপিএমসি-র একাধিপত্য সরাতে কৃষি আইন আনা হয়। এখন এই আইনের বিরোধিতায় যে বিরোধী দলরা গলা চড়াচ্ছে, তারাই এর সমর্থন করেছিল এককালে।
উল্লেখ্য, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা অকালি দলের সাসংদ হরসিমরত কউর এদিন প্রশ্ন করেন যে কেন্দ্র ২০১৭ এবং ২০২০ সালের মধ্যে ককৃষি আইন নিয়ে যখন পঞ্জাব সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল তখন তারা কোনও আপত্তি জানিয়েছিল কি না এই আইন নিয়ে। জবাবে নরেন্দ্র সিং তোমার জানান, কৃষকদের আরও ভালো এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজার প্রয়োজন বলে মনে করেছে সরকার। তাই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, একটি কৃষি পণ্যের বাজার সংক্রান্ত একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি তৈরি হয়েছিল দশটি রাজ্যে মন্ত্রীদের নিয়ে। ২০১০ সালে সেই কমিটি তৈরি হয়। কৃষি পণ্যের বাজারে সংস্কার আনার লক্ষ্যে এই কমিটি গঠিত হয়েছিল। সেই কমিটি নাকি প্রস্তাব দিয়েছিল যে কৃষি পণ্যে অবাধ গমনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হোক। বাজারে কোনও ধরনের বিধি আরোপ যাতে না থাকে, তার জন্য এপিএমসি-র একাধিপত্য সরানো হোক।
এরপর কৃষিমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন। হরিয়ানা ২০১০-এ কংগ্রেস শাসিত রাজ্য ছিল। পঞ্জাবে ২০১০ থেকে ২০১৭ ক্ষমতায় ছিল অকালি দল। পশ্চিমবঙ্গে ২০১০ ক্ষমতায় ছিল সিপিএম, পরবর্তীতে সেই রাজ্যে ক্ষমতা আসে তৃণমূল কংগ্রেস। এই সব রাজনৈতিক দল এই আইনের বিরোধিতা করছে এখন। তিনি দাবি করেন, বিল তৈরির সময়ও বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কথোপকথন হয়েছে কেন্দ্রের। সরকারের তরফে বিভিন্ন সময়ে উচ্চপদস্থ আমলারা সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।