এবারের বাজেটে একশো দিনের কাজের বরাদ্দ নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানালেন, প্রয়োজন পড়লে ভবিষ্যতে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি (মনরেগা) প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়াতে দ্বিধা করবে না কেন্দ্রীয় সরকার।
শনিবার লোকসভায় বাজেট বিতর্কের জবাবে সীতারামন দাবি করেন, করোনাভাইরাস মহামারী সত্ত্বেও দীর্ঘকালীন সময় দেশের লক্ষ্যপূরণের জন্য একাধিক সংস্কারমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। সেই সংস্কারের ফলে ভারতের সামনে বিশ্বের অন্যতম দ্রুতগামী অর্থনীতির হওয়ার পথ প্রশস্ত হবে। কংগ্রেস-সহ বিরোধীদের একহাত নিয়ে সীতারামন জানান, মানুষের জন্য কাজ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কংগ্রেসের মতো পুঁজিপতিদের প্রতি ‘হাম দো, হামারে দো’ করে না। ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ কমানো নিয়ে কংগ্রেসের আক্রমণও ভোঁতা করতে সীতারামন আশ্বাস দেন, বাজেটে ৭৩,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও প্রয়োজনে ভবিষ্যতে মনরেগা প্রকল্পে আরও টাকা ঢালবে কেন্দ্র। একইসঙ্গে কংগ্রেসকে খোঁচা তিনি জানান, কংগ্রেস তো মনরেগা নিয়ে নিজেরা কৃতিত্ব দাবি করে। অবশ্যই প্রকল্প চালুর ভাবনা তাদের। কিন্তু আদতে কংগ্রেসের আমলে প্রকল্প রূপায়ণের কাজে প্রচুর ফাঁকফোকর ছিল। তা ভরাট করেছে মোদী সরকার।
দিনকয়েক আগে একই কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ সিং। সংবাদসংস্থা পিটিআই তিনি জানিয়েছিলেন, বাজেটে মনরেগার যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, তা আগেও একাধিক বাড়িয়েছে মোদী সরকার। বরং যে কংগ্রেস এখন আক্রমণ করছে, তারা নিজেদের আমলে বাজেটে বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পারেনি। উদাহরণস্বরূপ অনুরাগ জানিয়েছিলেন, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষেই যেমন বাজেটে ৬০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। কিন্তু চাহিদা বেশি থাকায় সে বছর খরচ হয়েছিল ৭১,০০১.৮১ কোটি টাকা। একইভাবে গতবারের বাজেটে মনরেগায় ৬১,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও তা বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, গ্রামে তাঁদের কথা মাথায় রেখে মনরেগায় ১১১,৫০০ কোটি টাকা খরচের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র।