ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত আছে যে সব দেশগুলি, সেখান থেকে লগ্নির ক্ষেত্রে নিয়ম আঁটোসাঁটো করল ভারত। এর নিশানা যে চিন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র বা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত ক্ষেত্রগুলির ক্ষেত্রে নিয়মে আরও কড়াকড়ি করা হল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন টুইটারে এই কথা জানান।
বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য অবশ্য এই নিয়ম খাটবে না। তবে এর আওতায় থাকবে পিপিপ প্রজেক্ট। যে সব দেশকে ভারত আগে সাহায্য করেছে আর্থিক বিকাশের জন্য বা এখনও স্বল্প সুদে ঋণ দিয়েছে, তাদের জন্য নিয়ম খাটবে না।
এর জন্য জেনারেল ফিনান্সিয়াল রুলস ২০১৭ বদল করেছে ভারত। নিয়ম অনুযায়ী কোনও পণ্য, পরিষেবা বা প্রকল্পে অংশ নেওয়ার জন্য কোনও পড়শি দেশের সংস্থাকে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। সরাসরি Promotion of Industry and Internal Trade (DPIIT) এর আওতায় এই নথিভুক্তিকরণ হবে। অর্থাৎ অর্থমন্ত্রকের আতসকাঁচ থাকবে এই সব আর্থিক লেনেদেন। শুধু এটাই নয়। লাগবে বিদেশমন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ছাড়পত্র।
পাবলিক সেক্টর ব্যাংক, অর্থনৈতিক সংস্থা, অটোনমাস বডি, রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা ও পিপিপি প্রজেক্টের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর হবে। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারদের কাছেও চিঠি লেখা হয়েছে এই নিয়ম রূপায়ণের জন্য। সেখানেও বিদেশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ছাড়পত্র লাগবে।
কোভিড সামলানোর জন্য যে সব মেডিকাল সাপ্লাই নেওয়া হচ্ছে, তার জন্য এই নিয়ম থেকে ছাড় থাকবে ৩১ ডিসেম্বর অবধি। তবে সরকার যে সব দেশকে আর্থিক সাহায্য দেয় বা ঋণ দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম খাটবে না। তাদের আগে থেকে নাম লেখাতে হবে না।
সমস্ত নতুন টেন্ডারের জন্য এই নিয়ম এখন খাটবে। যদি টেন্ডার হয়ে গিয়ে থাকবে, তাহলে ফের নতুন করে টেন্ডার ডাকতে হবে। তবে এই নিয়ম বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য প্রযোজ্য না বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।