করোনাভাইরাস অতিমারীর প্রাদুর্ভাবের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সোমবার থেকে সরকারি অফিসে ফের বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু হতে চলেছে। এই বিষয়ে গত ১ নভেম্বর নির্দেশিকা জারি করেছিল কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ। নির্দেশিকায় বলা হয়, 'কর্মচারীদের হাজিরা চিহ্নিত করার আগে এবং পরে তাঁদের হাত স্যানিটাইজ করে নেবেন এবং এটি করার সময় ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। প্রয়োজনে ভিড় এড়াতে অতিরিক্ত মেশিন বসানো যেতে পারে।'
কর্মচারীদের তাদের হাজিরা চিহ্নিত করার পাশাপাশি সবসময় মাস্ক পরতে হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। এছাড়াও, স্ক্যানারগুলির টাচপ্যাড বা স্ক্যানার এলাকাগুলি ঘন ঘন পরিষ্কার বা মুছার জন্য মনোনীত কর্মীদের বায়োমেট্রিক সিস্টেমের কাছাকাছি মোতায়েন করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলিকে। উল্লেখ্য এর আগে করোনা অতিমারীর সময় বায়োমেট্রিক হাজিরা বন্ধ করা হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ রুখতেই সেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ায় ফের স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে দেশ। তাই ফের পুরোনো নিয়মে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে হাজিরা গ্রহণ শুরু করল সরকারি অফিসগুলি।
এখনও বৈঠক যথা সম্ভব অনলাইনেই হবে বলে জানিয়েছে কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগ। জনসমাগম এড়াতেই এই নির্দেশিকা। বলা হয়েছে, 'যতদূর সম্ভব মিটিং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চলতে থাকবে। জনস্বার্থে প্রয়োজন না হলে দর্শকদের সাথে ব্যক্তিগত বৈঠক এড়ানো উচিত।' নির্দেশিকায় প্রাকৃতিক বায়ুচলাচল বজায় রাখার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, করোনা রুখতে অফিসগুলিকে বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে। কর্মচারীদের সচেতন রাখতে তাদের যথাযথ নির্দেশ দেওয়া হবে।