জেপি মরগ্যানের ভাইস প্রেসিডেন্ট অনিরূদ্ধ কেজরিওয়াল। এবার তিনি গুজরাটের জাতপাতের ভেদাভেদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন। সিঙ্গাপুর বাদ দিয়ে তিনি গুজরাটে এসেছিলেন। কিন্তু সেখানে বাড়ি খুঁজতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা তাঁর হয়েছে তা কার্যত ভয়াবহ। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এনিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন।
এক্স হ্যান্ডেলে অনিরূদ্ধ লিখেছেন, বছরের পর বছর ধরে মুম্বইতে ছিলাম। এরপর আমি গুজরাটে যাই। সিঙ্গাপুরে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আমি গুজরাটকেই বেছে নিয়েছিলাম। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে দিশা দেখিয়েছিলেন ও GIFT City র যে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল তা দেখে আকৃষ্ট হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তিনি লিখেছেন, আমি আকৃষ্ট হয়ে গুজরাটে বাড়ি কেনার কথা ভেবেছিলাম। আগামি দিনগুলি আরও ভালো কাটবে এই আশা করেছিলাম। কিন্তু আমার সব প্রত্য়াশা ভেঙে গিয়েছে। আমি আঘাত পেয়েছি। আমার স্বপ্নের বাড়ি নিয়ে অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জের মুখে আমি। অন্য কিছু নয়, আমি কেন গুজরাটে জন্মাইনি এটাই হল মূল সমস্য়ার।
তিনি লিখেছেন, জাতপাতের বৈষম্য সন্ত বিহারে। এতে আমি মারাত্মক আঘাত পেয়েছি। আমার ফ্ল্যাট কেনার ইচ্ছে কার্যত দুঃস্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে, কারণ আবাসনের লোকজন আমায় জাত নিয়ে প্রশ্ন তুলে ঢুকতে দেননি।
জেপি মর্গানের ভিপি জানিয়েছেন, অনেক খারাপ হয়েছে। মনে হচ্ছে খুশির দিন থেকে অনেক দূরে চলে যাব আমি। সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকবে। এটা হজম করা খুব কষ্টের। মুম্বই ছেড়ে গুজরাটকে বেছে নেওয়া, সিঙ্গাপুরে না গিয়ে গুজরাটে আসা আমি ভাবতে পারিনি এরকম জাতপাতের ভেদাভেদের মধ্যে পড়তে হবে।
তিনি অপর একটি পোস্টে লিখেছেন, আমি এবার আইনগত পদক্ষেপ নেব। এটা চলতে পারে না। আমি আমার অধিকার ও বিনিয়োগ দাবি করব।
এদিকে তাঁর এই পোস্টের জবাবে এক ব্যক্তি লিখেছেন, অত্য়ন্ত হতাশাজনক ব্যাপার। তবে এটাই হল গুজরাট। এটাই হল গুজরাটের বাস্তবতা। আশা করি আপনি ও আপনার পরিবার ভালো আছেন।
অপর একজন লিখেছেন… আশি করি আপনার সমস্যা মিটবে। গিফ্ট সিটির একটা বড় প্রতিবন্ধকতা হল ধর্ম ও জাতপাত নিয়ে ভেদাভেদ। অপর একজন লিখেছেন, আশা করা হচ্ছে শুভ বুদ্ধির উদয় হবেই। সকলের জন্য় সমান সুবিধা হবে গুজরাটে এটাই আশা করছি।
তবে শেষ পর্যন্ত এক্স হ্যান্ডেলে এই লেখার পরে কতটা সমস্যার সমাধান হবে সেটাই দেখার।