নাইট শিফটে কাজ করার বদলে ঘুমিয়ে পড়ায় চাকরি গিয়েছিল। এই আবহে রোষের মাথায় সংস্থার মালিক, তাঁর বাবা এবং কাকাকে খুন করল চাকরি হারানো ব্যক্তি। এই গোটা ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজেও ধরা পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের সুরাটে। ঘটনাটি রবিবার ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তিদের নাম সংস্থার মালিক কল্পেশ ঢোলাকিয়া (৩৬ বছর), কল্পেশের বাবা ধনজি ঢোলাকিয়া (৬১ বছর) এবং কল্পেশের কাকা ঘনশ্যাম রাজোদিয়া (৪৮ বছর)। কল্পেশের এম্ব্রয়ডারির সংস্থার নাম বেদান্ত টেক্সো। অভিযোগ, যে ব্যক্তি তাদের খুন করেছে, তাকে কাজের সময় ঘুমোনোর দায়ে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। চাকরি হারিয়ে কল্পেশের সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তি বচসায় জড়ায়। সেই সময়ই বেদান্তের মালিক কল্পেশ, কল্পেশের বাবা এবং কাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করে। গোটা ঘটনা সিসিটিভিতে দেখা যায়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে অভিযুক্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে কারখানায় ঢুকছে এবং মালিক ও অন্যদের একাধিকবার ছুরিকাঘাত করছে। একটি ফরেনসিক দলের সহায়তায় প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে, এবং সুরাট পুলিশ এক সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ডিসিপি) (জোন ৫) হর্ষদ মেহতা বলেছেন, 'অভিযুক্ত এবং তার সহযোগী রবিবার সকালে কোম্পানিতে প্রবেশ করে এবং ইউনিটের মালিক, তার বাবা এবং কাকাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। এমব্রয়ডারি ফার্মের মালিক এবং তার কর্মচারীর মধ্যে কলহের ফলে এই তিনজন খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, কারখানার মালিক ১০ দিন আগে লোকটিকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। অভিযুক্ত রাতের শিফটের সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় তাদের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি হয়। পুরো ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। সুরাট পুলিশের বিভিন্ন দল অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে।'