হাদিয়া। পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। বাড়ি কেরলে। ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর বিয়েও করেছিলেন। তাঁর এই ধর্মান্তকরণ নিয়ে জোর বিতর্ক দানা বেঁধেছিল কেরলে। ২০১৭ সালে বিয়ে করেছিলেন তিনি। অবশেষে সেই বিয়েও ভেঙে গেল। শেফিন জাহানের থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছেন তিনি। ফের বিয়ে করেছেন ওই চিকিৎসক।
ওই মহিলার আগের নাম ছিল কেএম আখিলা। তিনি হিন্দু পরিবারেই জন্মেছিলেন। তবে তামিলনাড়ুতে মেডিক্যাল পড়ার সময় তিনি মুসলিম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। এরপর তিনি জাহান নামে এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন। সেই সময় জাহান মধ্য়প্রাচ্যে কাজ করতেন। তবে বর্তমানে সেই জাহানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে তার। তবে তাঁর প্রথম বিয়েকে ঘিরে ব্যপক জলঘোলা হয়েছিল। বেশ কয়েক মাস ধরে তিনি পুলিশি সুরক্ষায় থাকতেন।
শনিবার তাঁর একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, নিজের পছন্দের মানুষকে ফের বিয়ে করেছেন তিনি। তিনি ভিডিয়োতে বলেন, সংবিধান সকলকেই বিয়ের অধিকার দিয়েছে। আবার সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অধিকারও দেওয়া হয়েছে। এটা সমাজের একটা সাধারণ দিক। কিন্তু আমি বুঝতে পারি না সমাজ কেন আমার বিষয়টাকে নিয়ে এত বিতর্ক তৈরি করে। আমি বড় হয়েছি। নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। যখন দেখলাম ওই সম্পর্কে আর থাকতে পারছি না তখন তা থেকে বেরিয়ে আসি। এখন পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেছি। আমি মুসলিম হিসাবে খুব খুশি। আমার বাবা মা ফের এই বিয়ের ব্যাপারটা জানেন।
এদিকে তাঁর বাবা কেরল হাইকোর্টে আবেদন করে জানিয়েছেন, তিনি মেয়ের খোঁজ পাচ্ছেন না। তিনি জানিয়েছিলেন মেয়ের সঙ্গে তাঁর কথা হয় ফোনে। কিন্তু কোথায় আছে জানি না। তবে ওই মহিলা জানিয়েছেন, বাবা কেন আদালতে গেলেন বুঝতে পারছি না। তিনি জানিয়েছেন এসব ব্যাপার সকলের সামনে বলা উচিত নয়।
এদিকে হাদিয়া মালাপ্পুরমে একটি ক্লিনিক চালাতেন। তবে ডিভোর্স হওয়ার পরে তিনি থিরুবনন্তপুরমে চলে যান।