ভারতে ধীরে ধীরে নেমেছে কোভিডের গ্রাফ। ২০২১ সালে ডেল্টার যে প্রবল সংক্রমণে বিধ্বংসী পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল, তার থেকে অনেকটাই স্বস্তির পরিস্থিতি বর্তমানে। ধীরে ধীরে নেমেছে দেশের কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে তারই মাঝে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য সতর্ক করলেন কোভিডের এক্সই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন, অতিমারি কেটে যায়নি এখনও'। দিল্লির বিজেপি হেডকোয়াটার্সে এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানান, কোভিডের সঙ্গে লড়াইতে ২০২০ সাল থেকে মোদী সরকার কোন কোন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে চলেছে। সেই প্রসঙ্গেই তাঁর সামনে আসে এক্সই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বার্তা। তিনি একইসঙ্গে বলেন, 'আগামীতে কী হতে পারে তা বলা যায় না।' তিনি বলেন, 'এক্সই ভ্যারিয়েন্ট হল ওমিক্রনের বিএ ওয়ান ও বিএ টুয়ের সম্মিলিত রূপ।' উল্লেখ্য, সদ্য মুম্বইতে এক ব্যক্তির দেহে এক্সই ভ্যারিয়েন্টের চিহ্ন মিলেছে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। গুজরাত ও মহারাষ্ট্র ভারতে এক্সই ভ্যারিয়েন্টের দাবি করলেও সেই নমুনা এখনও পরীক্ষাধীন। তার মাঝে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বার্তা ঘিরে রীতিমতো জল্পনা দানা বাঁধে।
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সামনে বুস্টার ডোজের দাম নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়। বুস্টার ডোজের সর্বোচ্চ দাম ২২৫ টাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এই দাম সর্বোচ্চ। তার থেকে নেমে আসতে পারে এই দাম। বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে দাম নেমে আসতে পারে। উল্লেখ্য, জনগণের মধ্যে যাঁরা ষাটোর্ধ্ব তাঁদের বিনা মূল্যে দেওয়া হয়েছে এই বুস্টার ডোজ। এদিনের প্রেসকন্ফারেন্সে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যায় নেমেছে। এমনকি দেশের ৯৭ শতাংশ ভ্যাকসিন গ্রহণে উপযোগী নাগরিকরা প্রথম ডোজ পেয়েছেন, দ্বিতীয় ডোজ ৮৫ শতাংশ মানুষ পেয়েছেন বলে জানান তিনি।