হেলমেটে ক্যামেরা লাগানো অবৈধ। রাস্তায় কেউ হেলমেটে ক্যামেরা লাগানো অবস্থায় ধরা পড়লে কড়া শাস্তি হবে। বাতিল করা হবে লাইসেন্স। গত সপ্তাহে এমনটাই ঘোষণা করল কেরালার আরটিও।
কেরালার মোটর ভেহিকল ডিপার্টমেন্টের ট্রান্সপোর্ট কমিশনার জানান, 'হেলমেটে ক্যামেরা লাগিয়ে বাইক চালালে সেই দিকেই মন থাকে। কেমন ছবি উঠছে তাই নিয়েই আরোহী ব্যস্ত থাকেন। ফলে অন্যমনস্ক হয়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি।'
বর্তমানে ইউটিউবে মোটো-ভ্লগিং অন্যতম জনপ্রিয় ক্ষেত্রে। অনেকেই লং রাইড, বাইকের রিভিউ ইত্যাদি করার সময়ে ভিডিয়ো রেকর্ড করেন। হেলমেটের সামনে বা মাথায় ছোট অ্যাকশন ক্যামেরা লাগিয়ে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করেন।
আবার অনেকে সাধারণ যাতায়াতের সময়েও ক্যামেরা চালু রাখেন। নিয়মিত ফুটেজ ডিলিট করে দেন। তাঁরা রাস্তায় দুর্ঘটনা হলে যাতে নিজের নির্দোষ অবস্থান প্রমাণ করা যায়, সেই উদ্দেশ্যে ক্যামেরা চালু রাখেন। অনেকে অসত্ ট্র্যাফিক পুলিশের হেনস্থা থেকে বাঁচতেও এটি প্রমাণ হিসাবে ব্যবহার করেন।
এদিকে অনেকেই কনটেন্টের লোভে এই ক্যামেরার অপব্যবহার করেন। বাইক নিয়ে ফেক অ্যাক্সিডেন্ট, রাস্তায় ঝগড়ার অভিনয়ও করেন কেউ কেউ। অনেকে রেসিং, স্টান্টের মতো কাজকর্মও করেন। বলাই বাহুল্য, প্রতিটিই বেশ বিপদজনক।
যদিও আইনত ক্যামেরা ব্যান করার কোনও ধারা নেই। কেরালা আরটিও মোটর ভেহিকল আইনের ৫৩ নম্বর ধারা প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে। এই ধারা অনুযায়ী, 'গাড়িতে কোনও মডিফিকেশন করা হলে সাময়িকভাবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে। যতক্ষণ না স্টকে ফিরিয়ে আনা হবে এটি প্রযোজ্য হবে।'
বিভিন্ন দেশেই মোটরসাইকেল ও গাড়িতে সাবধানতা, সুরক্ষার খাতিরে ক্যামেরা রাখা হয়। অ্যাক্সিডেন্টে যাতে সহজে বিমার টাকা পাওয়া যায়, সেই উদ্দেশ্যেই এমনটা করা হয়। যদিও এটি বহু দেশে নিষিদ্ধও বটে।
অস্ট্রিয়ায় যেমন ড্যাশক্যাম বেআইনি। একইভাবে সুইত্জারল্যান্ডে গাড়িতে ড্যাশক্যাম রাখা নিষিদ্ধ।
জার্মানিতে ড্যাশক্যাম ব্যবহারে বাধা নেই। কিন্তু তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডের ক্ষেত্রে রয়েছে বিধিনিষেধ। মুখ ও অন্যান্য গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ব্লার না করে আপলোড করা যাবে না।