খনি ইজারার কেলেঙ্কারি মামলায় এবার সরাসরি ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাঁচিতে ইডির আঞ্চলিক দফতরে হেমন্তকে হাজিরা দিতে বলা হয় আগামিকাল। এর আগে হেমন্ত সোরেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত পঙ্কজ মিশ্রকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। পঙ্কজের থেকেই হেমন্ত সোরেনের সই করা কতগুলি চেক এবং পাসবই পেয়েছেন বলে জানিয়েছে ইডি। এই আবহে অর্থ পাচারের মামলায় হেমন্তকে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।
এর আগে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে নোটিশ পাঠিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নিজের নামে পাথর খাদানের ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে। মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে থাকাকালীন সেই পদের সুযোগে লাভবান হওয়া বেআইনি। এই প্রেক্ষিতে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই চাপে রয়েছেন হেমন্ত।
হেমন্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে, তিনি তাঁর স্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের নামে জমি বরাদ্দ করেছেন। অভিযোগ ওঠে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁর রাজনৈতিক প্রতিনিধি পঙ্কজ মিশ্র এবং তাঁর প্রেস উপদেষ্টা অভিষেক প্রসাদকে খনির ইজারা দিয়েছেন। দাবি করা হয়, সোহরাই লাইভ প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি কোম্পানিকে ১১ একর জমি বরাদ্দ করেছিলেন হেমন্ত সোরেন। এই সংস্থা তাঁর স্ত্রীর নামে। রাঁচির বেহরাতে এই জমি দেওয়া হয় সংস্থাকে। এই সংস্থাকে মাংস প্রক্রিয়াকরণের জন্য এই জমি বরাদ্দ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। তবে পরবর্তীকালে পঙ্কজ মিশ্রকে গ্রেফতার করে ইডি। এতে আরও চাপ বাড়ে হেমন্তের উপর।
তদন্ত চলাকালীন, ইডি ভারত জুড়ে ৪৭টি তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। এর জেরে ৫.৩৪ কোটি টাকা নগদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তাছাড়া একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৩.৩২ কোটি টাকার হদিশ পান তদন্তকারীরা। সেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়। এছাড়া একটি MV Infralink-III নামক ছোট জাহাজ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। পাঁচটি স্টোন ক্রাশার, দুটি হাইভা ট্রাক ছাড়াও অপরাধমূলক নথিপত্র এবং দুটি একে ৪৭ অ্যাসল্ট রাইফেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।