বন্ধ হল ১৫০ বছর পুরোনো হেরিটেজ মিটার গেজ রেলপথে ট্রেনের যাত্রা। মঙ্গলবার পশ্চিম মধ্যপ্রদেশের এই রুটের শেষ ট্রেনকে সবুজ সিগনাল দেখানো হল। এরপর অনির্দিষ্টকালের জন্য এই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এই লাইনটিকে মিটার গেজ থেকে ব্রডগেডে পরিণত করা হবে। এই রুটটি ওমকারেশ্বর রোড স্টেশন থেকে মহৌ পর্যন্ত ছিল। উল্লেখ্য, ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম হল ওমকারেশ্বর। এদিকে মহৌতেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন আমাদের দেশের সংবিধানের রচয়িতা বাবা সাহেব আম্বেদকর। (আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে এই শহরে চালু হল বিমান পরিষেবা, সবুজ পতাকা দেখালেন সিন্ধিয়া)
মঙ্গলবার এই রুটের শেষ ট্রেন যাত্রা শুরুর আগে যাত্রীরা লোকো পাইলট দৌলতরাম মীনা এবং তাঁর সহকর্মীদের মালা পরান। ইন্দোর থেকে প্রায় ৭০ কিমি দূরে অবস্থিত ওমকারেশ্বরের বাসিন্দা মহম্মদ শাহিদ সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, 'এই ট্রেনের শেষ যাত্রা দেখা খুব বেদনাদায়ক। এই ট্রেনে করে আমরা খুব সহজেই মহৌ (ডঃ আম্বেদকর নগর) পৌঁছে যেতাম। এখন আমাদের গন্তব্যে পৌঁছতে বাসে চাপতে হবে।' পশ্চিম রেলের রতলাম ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক খেমরাজ মীনা বলেন, 'মহৌ এবং খান্ডওয়ার মাঝামাঝি ৯০ কিমি রেলপথকে পুরোপুরি ব্রডগেজে পরিণত করা হচ্ছে। এই কারণে এই রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ থাকবে।'
এর আগে পাতালপানি এবং কলাকুণ্ডের মাঝের রেলপথটিকে হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে এই রুটে হেরিটেজ ট্রেন চলাচল শুরু করেছিল রেল। রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন যে তৎকালীন হোলকার শাসকরা ১৮৭০ সালে ব্রিটিশদের ১০১ বছরের জন্য ১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিলেন। তাদের রাজধানী ইন্দোরের সঙ্গে খান্ডওয়াকে যুক্ত করার জন্য একটি লাইন স্থাপনের জন্যই এই ঋণ দেওয়া হয়েছিল। এই লাইনের খান্ডওয়া-সানওয়াদ অংশটিতে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। কর্মকর্তারা বলেছেন যে এই লাইনটি উত্তর ভারতকে দক্ষিণ ভারতের সাথে সংযুক্ত করার জন্য ব্যবহার করা হত এককালে। জয়পুর-পূর্ণা মীনাক্ষী এক্সপ্রেস, আজমের-খান্ডওয়া এক্সপ্রেস এবং জয়পুর-কাচেগুদা মেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীবাহী ট্রেনগুলি এই রুটে পরিচালিত হত।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup