বিহারের ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬৩৮ জন সহকারী অধ্যাপকের নিয়োগ নিয়ে সংরক্ষণ ইস্যুতে সরকারের সঠিক 'পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া' পেশ করার ব্যর্থতার জেরে বিহারের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই পদে নিয়োগ স্থগিত রাখার নির্দেশ দিল পাটনা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, বিহারের স্টেট ইউনিভার্সিটি সার্ভিস কমিশনের আওতায় এই নিয়োগ নিয়ে এই নিয়া জটিলতা দেখা দিয়েছে।
বিহারের পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি জাস্টিস সঞ্জীব প্রকাশ শর্মার এজলাসে তিনটি পিটিশনের সাপেক্ষে এই নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। ওই পিটিশনে দাবি করা হয়, যাতে বিএসইউএসসি কোনও মতেই ওই নিয়োগগুলি কার্যকরি না করে দেয়। এদিকে, আজকের শুনানিতে বিহার স্টেট ইউনিভার্সিটি সার্ভিস কমিশন বা বিএসইউএসসিকে দেওয়া নির্দেশে বলা হয়, আপাতত পরবর্তী নির্দেশের আগে ওই পদে যেন কোনও নিয়োগ না হয়। উল্লেখ্য, এই পিটিশনগুলির আবেদন ঘিরে মূল বক্তব্য হল মোট শূন্যপদের তিন চতুর্থাংশেই কেন সংরক্ষণের আওতায় নিয়োগ করা হল, তা নিয়ে। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত এক বিজ্ঞাপনের নিরিখে এই নিয়োগ শুরু হয়। এরপর দেখা যায়, ৪৬৩৮ জনের শূন্যপদে শেষমেশ সংরক্ষণ ব্যাতীত ১২২৩ জনের নিয়োগ হচ্ছে। এরপরই এই বিপুল সংখ্য়কের সংরক্ষেণ নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
প্রশ্ন উঠছে ৫০ শতাংশের বেশি সরকারি ক্ষেত্রে কীভাবে এই নিয়োগ সম্পন্ন হল, তা নিয়ে। এই গোটা পরিস্থিতির সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে জবাব চেয়েছে পাটনা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সওয়াল জবাব পর্বে প্রশ্ন করা হয়েছে, কীভাবে সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ ছাপিয়ে বেরিয়ে গেল নিয়োগের ক্ষেত্রে? এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জানুয়ারি।