করোনা আবহে শিমলা, মানালি, দার্জিলিঙের মতো পাহাড়ের পর্যটনস্থলগুলিতে উপচে পড়েছে ভ্রমণপিপাশুদের ভিড়। কোভিড বিধি অমান্য করেই লকডাউন থেকে মুক্ত হওয়ার আনন্দ উপভোগ করছেন মানুষ। আর এতে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়ার আশঙঅকা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের কেন্দ্র বারবার মনে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখনও শেষ হয়নি। একটা সময় করোনার দৈনিক সংখ্যা ৪ লক্ষের উপর ছিল। এখন সেই সংখ্যা ৪০ হাজারে নেমে এলেও করোনা সংক্রমণ বন্ধ হয়নি। দৈনিক ৪০ হাজার সংক্রমণও কিন্তু অনেকয এই পরিস্থিতিতে এবার পর্যটনস্থলগুলিতে কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা।
কোন কোন রাজ্য করোনা রুখতে পর্যটকদের উপর কি বিধি নিষেধ আরোপ করেছে বা কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিষয় খতিয়ে দেখলেন অজয় ভাল্লা। শুধু হিমাচল, উত্তরাখণ্ড নয়, পশ্চিমবঙ্গ, গোয়া, কেরল, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুর পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব।
সার্বিক ভাবে দেশে করোনা পজিটিভিটি হার কমলেও রাজস্থান, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচলপ্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় পজিটিভিটি হার ১০ শতাংশের বেশি। দেশের মোট ৬৬ জেলায় পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশ বা তার বেশি। যা বেশ চিন্তায় রেখেছে কেন্দ্রকে। তাই রাজ্যকে টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-ভ্যাকসিনেট ফর্মুলা অবলম্বন করতে বলা হয় কেন্দ্রের তরফে। পাশাপাশি পর্যটকরা কোভিড বিধি না মানলে, কড়া পদক্ষেপ নিতেও বলা হয় রাজ্যগুলিকে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই উত্তরাখণ্ডের কেম্পটি ফলস-এ পর্যটকদের অসেচতনতার ছবি প্রকাশ্যে আসে। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়চড়ে বসে সরকার। এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও চিন্তা বাড়াচ্ছে দার্জিলিং। বর্তমানে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা থেকেও দার্জিলিংয়ের দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বেশি। পর্যটকরা গুরুত্ব দিয়ে করোনা বিধি পালন না করায় এই বিপত্তি ঘটছে বলে মতা বিশেষজ্ঞদের। পরিস্থিতি এমন ভাবে চলতে থাকলে দ্বিতীয় ঢেউ শেষ হতে না হতেই দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ।