দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর এই জার্নিকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই। গর্ব করছে গোটা দেশ। কিন্তু এর মধ্যে গর্বের কিছু পাননি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কলকাতার সেলস বিভাগের জেনারেল ম্য়ানেজার ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন, আমি একজন গর্বিত পুরাতনপন্থী। আমি যেমন সমকামী বিবাহকে সমর্থন করি না, তেমনি আদিবাসী রাষ্ট্রপতিকে সমর্থন করছি না। ওই পোস্টকে ঘিরে শোরগোল পড়তেই তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে ওই পোস্ট মুছেও দিয়েছিলেন। ক্ষমাও নাকি চেয়েছিলেন।
কিন্তু এই পোস্টকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায় অশালীন মন্তব্যের কারণে ওই কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। সংস্থার আচরণবিধি তিনি লঙ্ঘন করেছেন বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে। ইন্দ্রনীল লিখেছিলেন, সবাইকে সব পদে মানায় না। আমরা কি একজন সাফাইকর্মীকে দুর্গাপুজো করার অনুমতি দিতে পারি? একজন হিন্দু কি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করবেন? কেন্দ্রের শাসকদলকেও নিশানা করেছিলেন তিনি। এমনকী দ্রৌপদী মুর্মুর রাষ্ট্রপতি হওয়া মানে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিদের অপমান। এমনটাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি।
তবে পোস্ট ভাইরাল হতেই যে সংস্থায় তিনি কর্মরত ছিলেন তাঁরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। ইন্দ্রনীলের এই সংকীর্ণ, মধ্যযুগীয় মানসিকতাকে ইতিমধ্যেই নিশানা করেছেন নেটিজেনরা। তাঁর এই পোস্টের বিরুদ্ধে পালটা নিন্দার ঝড় সোশ্য়াল মিডিয়ায়।