বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Evidence: বেআইনিভাবে রেকর্ড করা ফোনের কথাও প্রামাণ্য হিসাবে ধরা যাবে, জানাল হাইকোর্ট

Evidence: বেআইনিভাবে রেকর্ড করা ফোনের কথাও প্রামাণ্য হিসাবে ধরা যাবে, জানাল হাইকোর্ট

বেআইনিভাবে রেকর্ড করা ফোনের কথাও প্রামাণ্য হিসাবে ধরা যাবে, জানাল হাইকোর্ট। প্রতীকী ছবি

আদালতের পর্যবেক্ষণ, দুই অভিযুক্ত ব্যক্তির ফোন যদি বৈধ অথবা অন্যভাবেও নেওয়া হয়, তবে সেটা কোনওভাবেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রামাণ্য হিসাবে হাজির করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

টেলিফোনের কথাবার্তা কি আদালতে গ্রাহ্য হয়? এনিয়ে নানা কথা শোনা যায়। তবে এলাহাবাদ হাইকোর্ট সম্প্রতি জানিয়েছে, দুজন অভিযুক্ত ব্যক্তির মধ্যে কথাবার্তা হলে সেটাকে প্রামান্য হিসাবে হাজির করা যাবে। এটা বেআইনীভাবে নেওয়া হলেও। বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী তাঁর এই পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন। আসলে ঘুষ সংক্রান্ত মামলায় ট্রায়াল কোর্ট এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত হিসাবে উল্লেখ করেছিল। কারণ ফোনের কথাবার্তার রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আসে। খবর বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে।

তবে অভিযুক্ত জানিয়েছিলেন, এই ফোনের কথাবার্তা পুরোটাই বেআইনীভাবে অর্জন করা হয়েছে। এটা কখনই গ্রহণ করাটা ঠিক হবে না। তবে আদালত এই আবেদনকে নাকচ করে দেয়।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, দুই অভিযুক্ত ব্যক্তির ফোন যদি বৈধ অথবা অন্যভাবেও নেওয়া হয়, তবে সেটা কোনওভাবেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রামাণ্য হিসাবে হাজির করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

অন্যদিকে সঞ্জয় পাণ্ডের মামলায় আবার দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছিল, ফোন লাইন ট্যাপ করা অথবা কারোর ফোনের বার্তালাপ রেকর্ড করা তার সম্মতি ছাড়া সেটা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের সামিল।

অন্ধ্রপ্রদেশ হাইকোর্ট এর আগে জানিয়েছিল স্ত্রী যখন ফোনে কথা বলছেন সেটা স্বামী ট্যাপ করলেও সেটা বেআইনী। এটাকে প্রামাণ্য হিসাবে হাজির করা যাবে না।

তবে এলাহাবাদ হাইকোর্ট পরিষ্কার জানিয়েছে, কোনও প্রমাণ সেটা বেআইনীভাবে পাওয়া গেলেও সেটাকে প্রামাণ্য হিসাবে হাজির করাই যায়।

ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রাক্তন সিইও মোহন্ত প্রসাদ রাম ত্রিপাঠি, তার বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ। তিনি শশী মোহন বলে এক বোর্ড সদস্যের মাধ্যমে ১.৬৫ লাখ টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। এদিকে ডিজিটাল ভয়েস রেকর্ডারের মাধ্যমে সিবিআই দুজনের ফোনের কথা রেকর্ড করেছিল। কারণ একজন তার ফোনটি স্পিকার ফোনে রেখেছিল। এই কথাবার্তার সময় সহ অভিযুক্ত ত্রিপাঠিকে বলেছিল ৬ শতাংশ দেওয়া হবে। সিবিআই জানিয়েছিল, ত্রিপাঠি সেই সময় সম্মতি জানিয়েছিলেন। পরে সেই কথা এগোনর চেষ্টা করলে তিনি বলেন, অফিসে আসুন। সেখানে কথা বলা যাবে।

 

বন্ধ করুন