এদিকে এদিন ডেরেক ও'ব্রায়ানের বিরুদ্ধে সংসদীয় দলের বৈঠকে নাকি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কারণ তিনি সংসদে সরকারের আনা বিল পাশকে পাপড়ি চাট তৈরির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। গতকালই একটি টুইটের মাধ্যমে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন অভিযোগ করেন যে বিনা আলোচনাতেই পরপর বিল পাশ করানো হচ্ছে সংসদে। এই প্রসঙ্গে তিনি টুইট করে লিছেছিলেন, 'প্রথম ১০ দিনে, মোদী-শাহ শুধুমাত্র দৌড়ে বেরিয়েছেন এবং সাত মিনিটের গড় সময়সীমার মধ্যে ১২টি বিল পাশ করেছেন। এটা কি আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, নাকি পাপড়ি চাট বানানো হচ্ছে!' একই সুরে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীও অভিযোগ করেন, কেন্দ্র কোনও আলোচনা ছাড়াই পরপর বিল পাশ করছে সংসদে। তবে আদতে ডেরেক, অধীরদের অভিযোগ কতটা সত্যি?
কিশোর বিচার (শিশুদের যত্ন ও সুরক্ষা) সংশোধনী বিল, ২০২১ - এই সংসোধনীর ফলে এবার থেকে জেলা শাসক বা অতিরিক্তি জেলা শাসক শিশুদের দত্তক নেওয়ার অনুমতি দিতে পারবেন। পাশাপাশি শিশু কল্যাণ কর্তৃপক্ষের কাজে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারবেন জেলা শাসক। পাঁচ মিনিটে এই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হয়।
ফ্যাক্টরিং সংশোধনী বিল, ২০২১ - ২৮ জুলাই এই বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হয়েছিল মাত্র ১৫ মিনিটের আলোচনার পর। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সাহায্য করতে এই বিল আনা হয়েছে। গতবছর লোকসভায় এই বিল প্রথমবার পেশ করা হয়েছিল।
সাধারণ বীমা ব্যবসা (জাতীয়করণ) সংশোধনী বিল, ২০২১ - এই সংশোধনীর মাধ্যমে এবার সরকার বীমা সংস্থার বিলগ্নীকরণের দিকে হাঁটতে পারে।
ট্রাইব্যুনাল সংস্কার বিল, ২০২১ - এই বিল নিয়ে বিরোধীরা আলোচনা চাইলেও বিলটি কোনও আলোচনা ছাড়াই পাশ হয় ২ অগস্ট। এই বিলের জেরে প্রচ্ছন্ন ভাবে প্রভাবিত হবে - সিনেমাটোগ্রাফ অ্যাক্ট, কপিরাইট অ্যাক্ট, কাস্টমস অ্যাক্ট, পেটেন্টস অ্যাক্ট, এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট, ট্রেড মার্কস অ্যাক্ট, এবং জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস অফ গুডস (রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড প্রোটেকশন) অ্যাক্ট।