নিজের দলের বহু সদস্যই গিয়েছেন ইমরান খানের বিরুদ্ধে। তবে খাতায় কলমে এই সব অ্যাসেম্বলি সদস্য এখনও ইমরানের দল পিটিআই-এর সদস্য। সেই ক্ষেত্রে খাতায় কলমে সব শরিকদের নিয়ে ইমরানের সরকারের পক্ষে থাকার কথা ১৭৯ জন সদস্য। যা সেদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যথেষ্ট। তবে এবার এক বড় শরিক দলকেই হারালেন ইমরান খান। এদিন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি একটি টুইট করে জানান যে মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট বিরোধীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্টের সাতজন সদস্য আছে। এর জেরে পাকিস্তানের গদি থেকে ইমরানের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল। এখন তাঁর দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ সদস্যরাও যদি সরকারের পক্ষে ভোট দেন, তাহলেও ইমরানের বাঁচার উপায় নেই।
উল্লেখ্য, ৩৪২ আসন বিশিষ্ট পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ম্যাজিক নম্বর হল ১৭২। খাতায় কলমে পিটিআই-এর সদস্য সংখ্যা ১৫৫। তবে ২০ জনেরও বেশি সদস্য শিবির বদল করেছেন এরই মধ্যে। তাছাড়া মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ, বালোচিস্তান আওয়ামী পার্টি এবং গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সদস্যদের মিলিয়ে জোট সরকারের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ১৭৯। তবে এবার মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করল ইমরান সরকারের উপর থেকে। জানা গিয়েছে, ইমরানের সরকারে থাকা মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্টের দুই মন্ত্রী আজই পদত্যাগ করবেন। এর আগে বালোচিস্তান আওয়ামী পার্টিও সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে বিরোধীদের সাথে হাত মিলিয়েছিল। পাক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে তাঁদের সদস্য সংখ্যা ৪।
এই শিবির বদলের ফলে খাতায় কলমে সরকারের কাছে রয়েছে ১৬৪ জনের সমর্থন (পিটিআই বিদ্রোহী সদস্যদের নিয়ে)। অপরদিকে বিদ্রোহীদের সংখ্যা বেড়ে ১৭৫ হয়ে গিয়েছে। এই আবহে পাকিস্তানের গদি ধরে রাখা ইমরান খানের জন্য অসম্ভব হয়ে গেল। উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ১৬১ জন সদস্যের ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। ৩১ মার্চ অনাস্থা প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে। আলোচনা শুরু ৪ দিনের মধ্যে ভোটাভুটি হতে হবে অনাস্থা প্রস্তাবের উপর।