বার বার তাল কাটছে ইন্ডিয়া জোটে। একে তো প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। অনেকে একে কৌশলী চাল বলেও উল্লেখ করছেন। এবার বিজেপি বিরোধিতার জোট মঞ্চে তৃণমূলের কোনও হেভিওয়েট লোকজনকেও দেখা যাচ্ছে না।
সবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হয়েছে। প্রায় ১৫০জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল সংসদ থেকে। তারপর থেকেই সুর চড়াতে শুরু করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু দিল্লির যন্তরমন্তরের বাইরে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিবাদ মঞ্চে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হাজির কেবলমাত্র মৌসম বেনজির নূর। বাকিরা কোথায় গেলেন? সেই প্রশ্নটাই বড় করে উঠছে। সব থেকে বড় কথা বাংলায় যেভাবে তৃণমূল ও কংগ্রেসের মধ্য়ে আড়াআড়ি বিভাজন আরও বাড়ছে তাতে জোটের উপর বড় প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছেন অনেকে।
এদিকে জোট পুরোপুরি কার্যকর করা, আসন সমঝোতা করা, তারপর একসঙ্গে মিটিং মিছিল, এসব কি আদৌ সম্ভব? বছর শেষের দিকে। দিল্লিতে যন্তরমন্তরের কাছে জোটের প্রতিবাদ মঞ্চে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, এনসিপির শরদ পাওয়ার, আরজেডির মনোজ ঝার মতো হাই প্রোফাইল বিরোধী নেতারা। আর সেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে উপস্থিত একমাত্র মৌসম বেনজির নুর।
কিন্তু বেশ তো জোট জোট একটা ব্যাপার চলছিল। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নাম বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়েছে এমনটাও নয়। আসলে গোল বেঁধেছে আসন রফার জায়গায়। কারণ বাংলায় কোন অঙ্কে আসন রফা হবে তা নিয়ে নানা মুণির নানা মত।
এদিকে কংগ্রেস ৬-৭টি আসনে লড়তে চায় বাংলা থেকে, এমন একটা কথাকে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছেও বঙ্গ কংগ্রেসের নেতারা এনিয়ে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন বলে খবর। এতেই চটেছেন তৃণমূলের একাংশ। কংগ্রেসকে সাতটি আসন ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা তৃণমূলের একেবারেই নেই। তার জেরেই মুখে জোটের কথা বললেও, বৈঠকে রাহুলের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বসলেও বাস্তবে যোজন দূরত্ব। একলা মৌসমকে প্রতিবাদ মঞ্চে পাঠিয়ে কার্যত সেই অসন্তোষের বার্তাটাই কি দিতে চাইল তৃণমূল?