এবার ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে বিশেষ রাফাল যুদ্ধবিমান আসতে চলেছে। ফ্রান্সের এরোস্পেস সংস্থা এবং যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা দাঁসো অ্যাভিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাফাল যুদ্ধবিমানের 'নেভাল ভার্সন' কিনছে ভারত। যা একেবারে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান (একেবারে লেটেস্ট জেনারেশন) হতে চলেছে। তবে শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফ্রান্স সফরের পর যে নথি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে অবশ্য রাফাল যুদ্ধবিমানের 'নেভাল ভার্সন' কেনার বিষয়ে কোনও শব্দ খরচ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Rafale Fighter Jet: ফ্রান্স থেকে ২৬ রাফাল যুদ্ধবিমান কিনবে ভারত, খরচ কত পড়বে?
ফ্রান্সের বিমান নির্মাণকারী সংস্থার তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, 'নেভি রাফাল যুদ্ধবিমান নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ভারত সরকার। যা ভারতীয় নৌবাহিনীতে ব্যবহার করা হবে। একেবারে সাম্প্রতিক প্রজন্মের রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত।' সেইসঙ্গে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভারতে যে ট্রায়াল চালানো হয়েছিল, তাতে সাফল্য পাওয়ার পরই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। ওই ট্রায়ালের সময় রাফাল যুদ্ধবিমানের বিভিন্নরকম দিক পরীক্ষা করে দেখা হয়। ভারতীয় নৌবাহিনীতে যে যে কাজে রাফালকে ব্যবহার করা হবে, তা পুরোপুরি সফল হয়েছে। সমস্ত মাপকাঠি পূরণ করেছে। ভারতীয় নৌবাহিনীর এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার রণতরীর (আইএনএস বিক্রান্ত) সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছে রাফাল যুদ্ধবিমান।
এমনিতে গত বৃহস্পতিবার ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান (মেরিন) কেনার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেই পরিস্থিতিতে দাঁসোর তরফে বলা হয়েছে, 'ভারতে ইতিমধ্যে যে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান (ইতিমধ্যে ভারতের হাতে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান এসে গিয়েছে) ময়দানে নেমে পড়েছে, সেটার সঙ্গে যুক্ত দেবে ভারতীয় নৌবাহিনীর ২৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান। ওই ৩৬টি যুদ্ধবিমান সম্পূর্ণভাবে ভারতীয় বায়ুসেনার চাহিদা পূরণ করছে (আপাতত ভারতে যে রাফাল যুদ্ধবিমানগুলি আছে, সেগুলি সব ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আছে)।'
উল্লেখ্য, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আইএনএস বিক্রান্তে রাফাল (মেরিন) মোতায়েন করার জন্য ইতিমধ্যে ট্রায়াল চালানো হয়েছে। আইএনএস বিক্রান্তের জন্য রাফাল যুদ্ধবিমান উপযুক্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলেছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাফালকে আইএনএস বিক্রান্তে মোতায়েন করা হলে ভারতীয় নৌসেনার হাত আরও মজবুত হবে। বিশেষত দক্ষিণ চিন সাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের বাড়বাড়ন্তের সময় আইএনএস বিক্রান্তে থাকলে ভারতের শক্তি অনেক বেড়ে যাবে।