দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৬৬ লাখ পেরিয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যানে রীতিমতো আশার আলো দেখা যাচ্ছে। গত ১৪ দিন ধরে দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখের নীচে থাকছে। শুধু তাই নয়, সেই সময়ের মধ্যে সেই গ্রাফের স্থায়ী পতনের সাক্ষী থেকেছে দেশ। একনজরে দেখে নিন কীভাবে করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানে পরিবর্তন হয়েছে -
১) প্রথমবার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি বন্ধ হয়েছে
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভারতে প্রথমবার সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ পেরিয়ে গিয়েছিল। গত মাসের দ্বিতীয় ভাগ থেকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে যেতে শুরু করে সুস্থতার সংখ্যা। তার জেরে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচদিন সক্রিয় সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ লাখের বেশি ছিল। সবথেকে বেশি ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর - ১,০২০,৮১৩। সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত তা দাঁড়িয়েছে ৯৩৪,৪২৭।
২) টানা ১৪ দিন গড়ে সক্রিয় আক্রান্তের পতন
সাতদিনের সক্রিয় আক্রান্তের বৃদ্ধির গড় শূন্যের নীচে আছে (-০.৪ শতাংশ)। গত ১৪ দিন ধরে গড়ে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা স্থায়ী পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ভারতে করোনার প্রকোপ শুরুর পর থেকে এই প্রথম সেই ধারা পরিলক্ষিত হয়েছে। গত দু'সপ্তাহে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪১,০০০।
৩) সক্রিয় আক্রান্তের পরিবর্তন এবং সাতদিনের গড়
গত ৪ অক্টোবর যে সপ্তাহ শেষ হয়েছিল, সেই সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৪,২৯০ কমেছে। ২৬ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে গড়ে দৈনিক সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৮,০২১ কমেছিল। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
৪) কোন কোন রাজ্যে ট্রেন্ড পরিবর্তন?
যে রাজ্যগুলিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি, সেগুলির মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু এবং তেলাঙ্গানাতেও কিছুটা সেই নিম্নমুখী ধারা পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে কর্নাটক, কেরালা ও রাজস্থানের মতো রাজ্যে এখনও সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।