CORONAVIRUS EMERGENCIES : এবার সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হতে পারে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন অক্সিজেন ট্যাঙ্কার। এবং বিদেশ থেকে দেশের মাটিতে সেই ট্যাঙ্কার আনার জন্য কাজে লাগানো হতে পারে ভারতীয় বায়ুসেনাকে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বররাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে করোনা সংক্রন্ত একটি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দেশে অক্সিজেনের আকাল মেটাতে ইতিমধ্যেই জার্মানি থেকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভ্রাম্যমাণ অক্সিজেন উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট আনা হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে ২৩টি প্ল্যান্ট এসে পৌঁছবে বলে জানা গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সেনা হাসপাতালগুলিতে রাখা হবে জার্মানি থেকে আনা ওই ২৩টি ভ্রাম্যমাণ অক্সিজেন উৎপাদনকাকারী প্ল্যান্ট। ওই প্ল্যান্টগুলি দেশে নিয়ে আসার জন্য বায়ুসেনাকে তাদের বিশেষ বিমান প্রস্তুত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে স্বস্তি দিতে আগেই ময়দানে নেমেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। ভারতীয় বায়ুসেনা নিজেদের বিমানগুলিতে করে খালি অক্সিজেন ট্যাঙ্কারগুলিকে আকাশপথে অক্সিজেন ফিলিং স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছে দিচ্ছে। সেখানন থেকে অক্সিজেন ভর্তি ট্যাঙ্কারগুলি সড়কপথে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে।
এভাবেই শুক্রবার বেগমপেট থেকে বায়ুসেনার সি-১৭ বিমান ৮টি ক্রায়োজেনিক অক্সিজেন কন্টেনার গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হয়। ইন্দোর থেকে জামনগরেও অক্সিজেন কন্টেনার নিয়ে যায় বায়ুসেনার বিমান। অপরদিকে অসমের জোরহাট থেকে হিন্দনে জরুরি মেডিক্যাল সরঞ্জাম নিয়ে আসে বায়ুসেনার সি-১৩০ বিমান। এছাড়া হিন্দন থেকে পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়েও ট্যাঙ্কার পৌঁছে দিয়েছে বায়ুসেনা। সি-৩০ এবং সি-১৩০ ছাড়াও বায়ুসেনার আইএল- ৭৬, এএন- ৩২ এবং আভরস বিমানগুলিকে এই কাজে লাগানো হয়েছে।